২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

শিল্পকলা একাডেমির ৫ লাখ টাকা ভাগ-বাটোয়ারা

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
মে ১৩, ২০২২
11
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে চলমান ৫ দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক উৎসবের ৫ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হচ্ছে।

স্বজনপ্রিতি বৈষম্য করে মোটা অংকের বরাদ্দ নিজেদের বলয়ে রেখে প্রোগ্রাম ভাগ করে নিয়েছেন সাস্কৃতিক জোটনেতা নামধারী কতিপয় ব্যক্তি।

তারা শিল্পকলা একাডেমির দায়িত্বশীলদের জিম্মি করে একই দিনের দলীয় প্রোগ্রামের নামে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম ঢুকিয়ে এবং নিজেরা আলোক সেজে অর্থ বরাদ্দের বেশিরভাগ অংশ পকেটে ভরেছ।

জোট নেতা সেজে সুকুমার দাস নিজে, তার প্রতিষ্ঠান ও তার আজ্ঞাবহ দাস পরিবারের আরো ৩ ভাইকে প্রোগ্রামের টাকা দিয়েছেন।

এক্ষেত্রে জোটের বাইরের অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। নামকাওয়াস্তে প্রতিষ্ঠানের তাদের নাম দিয়ে বেশি বরাদ্দের টাকা ভাগভাগি করে নিয়েছেন। যশোর শহরের অনেক গুনী আলোচক থাকলেও শুধু টাকার নেশায় নিজেরা আলোচক সেজে টাকা হাতানোর অপকৌশল এটেছে। জোটের বাইরে সংগঠনগুলোর অনেকেই এর প্রতিকার চেয়েছেন। এর আগেও অনেক সরকারি প্রোগামে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করে জোট নেতা সুকুমার দাস যথেচ্ছা করে সরকারি ফান্ড নিজেদের দখলে রেখেছে। দ্রুত এর প্রতিকরা করতে শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত দুই মাস আগে। এখন কমিটি নেই, জেলা প্রশাসক ও জেলা কালচালার অফিসার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। এবার ৯ মে থেকে মুজিব জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে জেলা সাংস্কৃতি উৎসএব আয়োজন করা হয়েছে। যে প্রোগ্রাম ইতিমধ্যে চলমান রয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বরাদদ হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। দলীয় পরিবেশনা, একক সঙ্গীত, আলোচনা ও উপস্থনায় বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যেহেতু শিল্পকলার এখন কমিটি নেই, সে কারণে এই প্রোগ্রাম সাজানো কথা জেলা কালচারাল অফিসারের। অথচ মজার ব্যাপারে সাবেক কমিটির সদস্য হয়েও নিজেদের কবজায় নিয়ে প্রোগ্রাম ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। অনুষ্ঠান সুচিতে দেখা যাচ্ছে দাসদের জয় জয়াকার।

সুকুমারে প্রতিষ্ঠান পুনুশ্চকে ৫ দিনের প্রোগ্রামের দুইদিন প্রোগাম দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে সুকুমার নিজে আলোচক ও একই দিনে তার প্রতিষ্ঠানের দলীয় প্রোগাম। একইদিনে দাস পরিবারের ৪ জনকে প্রোগাম দেয়া হয়েছে।

এ মধ্যে সুকুমার আলোচক হিসেব ৩ হাজার টাকা, সংগঠনের দলীয় প্রোগ্রামে ১০ হাজার টাকা ও দাস পরিবারের ৪ জনের অংশ গ্রহন করিয়ে (আলোচনা উপস্থাপনা এক সংগীত) আরো ১০ হাজার টাকা হাতানোর নীল নকসা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় তার অনৈতিক প্রোগ্রাম বন্টনে যাতে বাধা না দেয় সে জন্য তার অনুসারী আরো ৫/৭টি প্রতিষ্ঠানকে কাছাকাছি আর্থিক সুবিধা দেয়ার মত প্রোগ্রাম বাটা হয়েছে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সূচি দেখলে দেখা যাচ্ছে জোটের বাইরের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এর আগেও অনেক সরকারি প্রোগ্রাম এই জোট চক্র সাংস্কৃতিক নেতা নামধারীরা প্রোগ্রাম ভাগাভাগি করে সরকারি টাকা পকেটস্থ করেছেন। জোটের বাইরের সংঘঠনগুলোর দায়িত্বশীল অনেকের দাবি জোট তার নিজেস্ব প্রোগাম নিয়ে যা ইছা করুক কিন্ত যেটা সরকারি প্রোগ্রাম টাকার প্রোগ্রাম তারা কেন এই চরম বৈশম্য করবে। তারা কেন ফরিরের মত আচরণ করবে, টাকার জন্য কৌশল করে প্রোগ্রাম সাজাবে, একক শিল্পীর নাম ব্যবহার করেও সুকুমার চক্র নিজের সংগঠনে নামে বেশি টাকা হাতিয়েছেন এ আগের কয়েকটি প্রোগ্রামে। আবার প্যাড সর্বস অনেক প্রতিষ্ঠান জোটে আছে তাদের প্রতিও কম বেশি মায়া তার। অথচ দিনের পর দিন ভবন ভাড়া দিয়ে শুদ্ধ সংগীত চর্চা ও প্রসারে কাজ করছেন শুধু জোট না করায় হিংসা করে দাবিয়ে রাখা চেষ্ট করা হচ্ছে প্রোগ্রাম কম দিয়ে আবার না দিয়ে। সাংস্কৃতিক উৎসবে আলোচক হিসেবে যাদের রাখা হয়েছে তাদের অনেকের থেকে অনেক গুনী আলোচক যশোরে রয়েছেন। তাদের ডাকা হয়নি। মুজিব জন্মশত বাষিকীর বলা হলেও শেখ মুজিবুর রহমানকে জানাবোঝা বোদ্ধা কেনো আলোচক স্থান পায়রিন। রাখা আওয়ামী লীদের কোনো বোদ্ধা আলোচককেও। রাখা হয়নি কোনো গুনী কবি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতির উপর ভাল আলোচনা করতে পারেন এমন কাউকেই। আলোচনা কিংবা অনুষ্ঠানের কোনো অংশেই রাখা হয়নি জেলা কালচারাল অফিসারকে। জেলা সাংস্কৃতিক উৎসবে আলোচক হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ দেড় ডজন গ্রন্থের প্রনেতা দেশের নন্দিত কবি ও গবেষক ঋদ্ধ আলোচক ডক্টর শানাজ পারভীন রয়েছেন। তিনি যশোরের একটি প্রথম সারির দায়িত্বশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও বটে। তাকেও আলোচক করা হয়নি। অথচ তার তুলনায় অনেক হাস্যকর আলোচককে রাখা হয়েছে।

জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনেক সদস্য ও জোটের বাইরের ১৫ টির মত সংগঠন নেতৃবৃন্দের অনেকের দাবি শিল্পকলা একাডেমির কমিটি না থাকলেও কয়েক অসাধু সাংস্কৃতিক নেতা যথেচ্ছা করেই চলেছে। ১০ টাক সদস্যের সমায় তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানের সদস্য বাড়িয়ে ভোটে নেতা সেজে এখন নানা অপকৌশলে লিপ্ত তারা। যশোরে তারা সাংস্কৃতির মা বাবা সেজে আছেন। জেলা প্রশাসককে বোক বানিয়ে এবং জেলা কালচালার অফিসারকে টুঠো জগন্নাথ বানিয়েছে ওরা। ওদের নোংরা চেহারা সামনে আসা উচিৎ। চলমান এই জেলা সাংস্কৃতিক উৎসব ও বিগত কয়েকটি সরকারি অনুষ্ঠানে যাতে অর্থ বরাদ্দ ছিল শিল্পীদের সেইপ্রোগ্রাম নিয়ে বড় ধরণের তদন্ত হওয়া দরকার।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, উদীচী যশোর জেলা সংসদ থেকে আথিক কেলেংকারির দায়ে বিতাড়িত একজন ক্লিকবাজির উস্তাদ ও মুখপেপাড়া বলে খ্যাত সেই ব্যক্তি সরকারি প্রোগ্রামগুলোতে বৈষম্য করার মূল হোতা। এর প্রতিকার না হলে যশোর সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্প্রিতি বিননষ্ট হওয়ার আশংকাও রয়েছ। যশোর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অশনি সংকেতেরও শংকা রয়েছে।

জেলা সাংস্কৃতিক উৎসবে আলোচক না করা নিয়ে কথা হয় তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নন্দিত কবি ও গবেষক ঋদ্ধ আলোচক ডক্টর শানাজ পারভীনের সাথে। তিনি জানান তাকে কেন আলোচক করা হলোনা এ প্রশ্ন আমার কাছে না করে প্রোগাম বন্টনকারীদের কাছে করা উচিৎ। যশোরের একটি প্রথম সারির দায়িত্বশীল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতিও বটে। জানান ওই উৎসবে আলোচকদের তালিকায় তার নাম নেই। এছাড়া অংশ গ্রহনকারী হিসেবেও তার নাম নেই। কেনো জানিনা। হয়তো যাদের সিলেক্ট করা হয়েছে তারা তার চেয়েও বেশি বেশি গুনী আলোচক।

যশোর শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান কর্মকর্তা ও জেলা কালচার অফিসার হায়দার আলী বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রোগ্রাম বন্টন নিয়ে তারই নিজেরই অসন্তোষ রয়েছে। প্রথম দিকে যে পোগ্রাম তালিকা করা হয় তাতে শিল্পকলার নামই বাদ রেখেছিল ওই জোট নেতারা। পরে বিনা টাকার অংশে নাম ঢোকানো হয়েছে। প্রোগ্রামসূচি পেয়ে অনেকই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বৈষম্য এবং স্বজনপ্রিতির অেিযাগ তুলে তাকে ফোনও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন নিরুপায়। এব্যাপারে সবাইকে তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram