আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অর্থনৈতিক সংকটে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সময় পার করছে দেশটি। বৈদেশিক ঋণের বোঝা ও খাদ্য-জ্বালানি সংকটের পাশপাশি দেশটিতে দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। স্বাধীনতার পর এমন অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখতে হয়নি দ্বীপরাষ্ট্রটিকে। দুই কোটির ও বেশি জনসংখ্যার এই দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বর্তমানেবিপর্যয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।
আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি দেশটির এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। সবমিলিয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে লঙ্কানদের দেশে। তবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে দেশটির ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এই অর্থ দিয়ে জ্বালানি ও ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের গতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন>>>ডিজিট্যাল ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে উঠবে
শনিবার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি। এমন খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইতিমধ্যে আন্দোলনের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠছে। বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। চলতি সপ্তাহে নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আলি সাবরি। রয়টার্সকে দেওয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, এটি একটি কঠিন কাজ। চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক বন্ড পুনর্গঠন করার চেষ্টা করছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া অর্থপ্রদানের উপর একটি স্থগিতাদেশ চাইবে দেশটি এবং জুলাই মাসে আসন্ন ১০০ কোটি ডলার অর্থপ্রদানের জন্য বন্ডহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী তারা। দেশটির সরকার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্র, বিট্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অংশীদার দেশগুলোর কাছেও সহায়তা চাইবে বলে জানানো হয়েছে। আলি সাবরি বলেন, আমরা জানি যে, আমরা কিসের মধ্যে আছি। এই পরিস্থিতিতে একমাত্র উপায় লড়াই করে যাওয়া। আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।
