১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

সাতক্ষীরার কলারোয়াতে এবার এক কলেজে ৩ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ১৫, ২০২১
2710
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সাতক্ষীরায়-কলেজে-৩ ভারপ্রাপ্ত-অধ্যক্ষ
| ছবি : সাতক্ষীরায়-কলেজে-৩ ভারপ্রাপ্ত-অধ্যক্ষ

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ  সাতক্ষীরার কলারোয়াতে এবার এক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ নিয়ে ৩ জনের মধ্যে টানা টানি শুরু হয়েছে। ওই সুযোগে দুইজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে দায়ত্ব পালন করতে দেখা যাচ্ছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে-কলারোয়ার শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলির কারণে কলেজের সুনাম ভেস্তে যেতে বসেছে।

কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভুয়া কাগজ পত্র দিয়ে একাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়
যার কারণে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অভিযোগে অযোগ্য শিক্ষক ও নারী লোভীদের কারণে শিক্ষার পরিবেশ একেবারে নষ্ট হতে বসে।

ঠিক সেই সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয় ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক ব্যবস্থাপনা বিভাগের তুতিয়া খাতুনকে।

আরও পড়ুন>>>নড়াইলের কালিয়ায় পৌষপার্বন পিঠা উৎসব ও ধর্মীয় আলোচনা

তিনি কয়েকদিন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে নিজেকে অসুস্থ দেখিয়ে আর পেরে উঠছেন না বলে প্রচার করেন এবং তিনি ওই কলেজের অধ্যাপক আবুল খায়েরকে দায়িত্ব দিয়ে তার পদ থেকে সরে দাড়ান।

এর কয়েক মাস পরে কলেজ পরিচালনা পরিষদের কাছে অযোগ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিবিচিত হওয়ায় আবুল খায়েরকে তার পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে অধ্যাপক মনিরা বেগমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আর সেই থেকে তিনি সুনামের সাথে ওই কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

কিন্তু এতে খুশি নন ওই কলেজের কিছু সুবিধাভোগী শিক্ষকরা।
তারা বলছে-মনিরা বেগম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকলে তাদের কোন অন্যায় আবদার গ্রহন করবেন না। তাই তারা এবার দলবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা বেগমকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে।

গোপনে তারা একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানী মূলক তথ্য সরবরাহ করে কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছে। সে কারনে একক ভাবে একক সিদ্ধান্তে আবারও কলেজ সভাপতি ওই কলেজের পূর্বের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তুতিয়া খাতুনকে দায়িত্ব দেন।

আরও পড়ুন>>>খুলনায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুইজন নিহত

তিনি একক সিদ্ধান্তে ওই দায়িত্ব পাওয়ার চিঠি পেয়ে কলেজের কাগজপত্র বুঝিয়ে না নিয়ে তার আগেই কলেজে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নেমপ্লেট পাল্টিয়ে দেন। এমনকি কলেজের আইসিটি ল্যাবসহ সকল তালা পাল্টিয়ে ফেলেন। এতে করে তিনি সাতক্ষীরা আদালতের একটি মামলায় জড়িয়ে পড়েন।

জবাব দিতে দিতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।
এই সুযোগে ওই কলেজের অধ্যাপক আবুল খায়ের শিক্ষার্থীদের বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সিল মেরে নিজেই স্বাক্ষর করে প্রত্যয়ন পত্র দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন>>>খুলনার ডুমুরিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মাদরাসা ছাত্র মানিক বাঁচাতে চায়

এদিকে সদ্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়া তুতিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করায় আদালত কলেজ সভাপতির দেয়া নিয়োগপত্র বহাল রাখে। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আফিল করলে বিজ্ঞ জজ আদালত আদেশটি ভ্যাকেট করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর-২০তারিখের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।

একই সাথে পূর্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরা খাতুনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ বহাল রাখেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে তুতিয়া খাতুন তার সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মামলার বাদী মনিরা খাতুন। তিনি এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন>>>যশোরের বেনাপোল সীমান্তে মাদক,স্বর্ণসহ ১২০ কোটি টাকার চোরাচালানপণ্য আটক

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram