৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

সিলেটে সাধারণ মানুষকে জিম্মিকরে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার চাপ প্রসাশনের প্রতি

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
136
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সিলেটে-পরিবহন-ধর্মঘটের-তৃতীয় দিন
সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও রিকশা-মোটরসাইকেল ব্যতিত চলছে না কোনো যানবাহন | ছবি : সিলেটে-পরিবহন-ধর্মঘটের-তৃতীয় দিন

মো:ইবাদুর রহমান জাকির,সিলেট প্রতিনিধি: দুর্ভোগের আরেক দিন পার করছেন সিলেটবাসী। পরিবহন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও বৃহত্তর সিলেটে কেবল রিকশা মোটরসাইকেল ব্যতিত চলছে না কোনো যানবাহন।

আদালতের নির্দেশে বন্ধ পাথর কোয়ারি খুলে দিতে বুধবারও (২৩ ডিসেম্বর) বিভাগজুড়ে চলছে তিন দিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন।
এর আগে সিএনজি অটোরিকশার দুই দিনের ধর্মঘট মিলিয়ে বেশ বিপাকে সিলেটবাসী।

মূলত; সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পাথর কোয়ারি খুলে দিতে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সিলেট বিভাগজুড়ে গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে তিন দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ।

এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। করোনাকালে ধর্মঘটে থমকে গেছে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা। বিভিন্নস্থান থেকে পর্যটকরাও আসতে না পারায় হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ধ্স নেমেছে, জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।

অনেকে এই ধর্মঘটকে ‘অহেতুক’ ধর্মঘট বলেও অভিহিত করেছেন। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মনে করেন, পাথর কোয়ারি থেকে মুনাফার লাভের জন্য ব্যবসায়ী, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ গড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

সূত্র জানায়, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রাকৃতিকভাবে পাথর পাওয়া গেলেও তা তুলতে যন্ত্রের সাহায্যে অবৈধ উপায় বেছে নেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের শুরু থেকে স্থানীয় প্রশাসন পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে।

এ বছর সিলেটের তালিকাভুক্ত পাথর কোয়ারিগুলো ইজারা দেয়নি খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো।

সরেজমিন দেখা গেছে, ধর্মঘটের কারণে বুধবার সকাল থেকেও সিলেটের সড়কগুলোতে চলছে না যানবাহন। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা গেছে। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সিলেটের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও বাস টার্মিনালে দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের অপেক্ষমান থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে জরুরি প্রয়োজনে সিলেটের বাইরে যাওয়া লোকজন বিকল্প হিসেবে ট্রেনে যাতায়াত করছেন। যে কারণে ট্রেনে টিকিট সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান সিলেট রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান।

সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, আমরা ন্যায্য দাবির পক্ষে তুলে ধরেছিলাম। এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে কোনো সমাধান না আসায় আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। টানা তিনদিন পুরো সিলেট বিভাগে সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, বাস মালিক সমিতি পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে নেই। তবে বাসের শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে পরিবহন ধর্মঘট চালানো হচ্ছে। শ্রমিকরা না থাকলে আমরাতো বাস চালাতে পারি না।

সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে গত সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে সুরাহা না হওয়ায় তিন দিনের ধর্মঘট আহ্বান করে।

আরও পড়ুন>>>
খুলনার পাইকগাছায় স্থানীয় অপরাধ দমনে গ্রামপুলিশদের কঠোর নির্দেশনা
সিলেট-হবিগঞ্জ রু‌টে আজ থেকে বিআরটিসির ১২ টি বাস চালু
করোনার নতুন ধরন নিয়ে বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram