সীমান্তে মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দুটি হেলিকপ্টার পাবে বিজিবি
ডেক্স রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো ও দেশের সীমান্তপথে সকল প্রকার মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধের লক্ষ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কে দুটি হেলিকপ্টার প্রদান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল রোববার (৮ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজিবি এয়ার উইংয়ের জন্য কেনা এ দুটি হেলিকপ্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
বিজিবি সদরদফতর সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় পিলখানায় বীর আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবির এয়ার উইংয়ের জন্য রাশিয়া থেকে কেনা হেলিকপ্টার দুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের সীমান্তপথে সকল প্রকার মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিবির নিয়মিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াও সম্প্রতি নতুন পাঁচটি বিওপি নির্মাণ করা হয়েছে। টেকনাফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ৩১৭ কিলোমিটার বর্ডার রোড তৈরি করা হচ্ছে এবং স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের আওতায় সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে।
এর আগে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভবিষ্যতে দেশের সব সীমান্তে সকল প্রকার মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে ভিশন-২০৪১ এর আওতায় বিজিবির ১৬৮টি নতুন বিওপি নির্মাণ, সব সীমান্তে বর্ডার সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম এবং সীমান্ত সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব সীমান্তে নদীপথ রয়েছে, সেখানে বিশেষ করে টেকনাফ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে বিজিবির জন্য চারটি অত্যাধুনিক হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট কেনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন চরাঞ্চল, দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলের বিওপিসমূহের জন্য ১৫২টি এটিভি (অল টেরেইন ভেহিক্যাল) কেনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও সরঞ্জামাদি কেনা হবে। এছাড়া স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে বিজিবির দুটি ভেহিক্যাল এক্সরে স্ক্যানার ও দু’টি ব্যাগেজ স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টে স্থাপন করা হবে।