তিস্তার পানি ও সীমান্তে হত্যা বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে ভারত
![সীমান্তে-হত্যা-বন্ধেরআশ্বাস-ভারত](https://www.shadhinkantho.com/wp-content/uploads/2020/12/Capture-108.png)
ডেক্স রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল বৈঠকে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এবং বৈঠকের যৌথ ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়।
যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ২০১১ সালে দুইপক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে তিস্তার পানিবণ্টনে দ্রুত সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্ষেত্রে ভারত সরকারের আন্তরিক প্রতিশ্রুতি এবং অব্যাহত প্রচেষ্টার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে যৌথ ঘোষণায় বলা হয় দুই নেতাই একমত হয়েছেন যে, সীমান্তে বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি একটি উদ্বেগের বিষয় এবং সংশ্লিষ্ট সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন, যেন এ ধরনের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা হয়। একইসঙ্গে বিজিবি এবং বিএসএফের সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপরও দুই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রী তিস্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দিক থেকে এ ইস্যু সমাধানের ওপর গুরুত্ব দেন।এই চুক্তির বিষয়ে আমরাও সমান গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
দোরাইস্বামী আরও বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে ভারত ও বাংলাদেশের উভয়েরই একটি অভিন্ন দায়িত্ব বলে জোর দিয়ে উভয় নেতা আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনের জন্য সমন্বিত ও যৌথ টহলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
এছাড়া ভারত, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের মধ্যে যে আঞ্চলিক সড়ক হচ্ছে, সেটাতে যুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বৈঠকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে। একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশ ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠারও ৫০তম বছরে পা রেখেছে বাংলাদেশ-ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুসম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশকে ভারত সব সময়ই প্রাধান্য দেয়। এ সময় করোনা মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দুই দেশ এক সাথে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
তিস্তার বাইরে আরও ছয় নদীর পানি বণ্টন নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার টেবিলে।
এ সম্পর্কে যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, অভিন্ন ছয় নদীর অর্থাৎ মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির বিষয়ে ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি চূড়ান্ত করার বিষয় তুলে ধরেছেন দুই নেতা ।