মামুন মোল্যা, খুলনাঃ খুলনায় গণধর্ষণের স্বীকার হওয়া নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর (১৬) করা মামলায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) তিন আসামি খুলনা মহানগর হাকিম মো. তরিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নগরীর পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো. মেজবাহ উদ্দীন (২৫), একই এলাকার মো. ইমন মোল্লা (২০) ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মো. শিমুল চৌকিদার (২০)।
আরও পড়ুন>>>যশোরের সীমান্ত থেকে সোয়া কোটি টাকা মূল্যের ১৫টি স্বর্ণের বারসহ আটক-১
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদানের করেছেন। সন্ধ্যায় তাদের জবানবন্দী শেষ হলে আদালতের নির্দেশে তাদের ৩ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এছাড়া ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর থানা এলাকার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তার বন্ধু মারুফের সাথে ঘুরতে বের হয়। এ সময় মারুফের বন্ধু মেজবাহ ফোন দিয়ে মারুফকে বলে যে, দোস্ত ভাবিকে নিয়ে ঘুরতে আয়। তখন মারুফ ভিকটিমকে নিয়ে পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে যায়। গ্রেফতারকৃত মো. মেজবাহ উদ্দীন, মো. ইমন মোল্যা ও শিমুল চৌকিদার ওই ছাত্রী ও মারুফকে ইজিবাইকে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার মদিনাবাগ এলাকায় নিয়ে গিয়ে মারুফকে আটকে রেখে প্রথমে মেজবাহ উদ্দীন (২৫) পরে মো. ইমন মোল্যা(২০) ও মোঃ শিমুল চৌকিদার (২০) পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভয়ভীতি প্রদান করে চলে যায়। পরে এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন ধর্ষিতা।
স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায়
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে নিয়ে বন্ধু মারুফ প্রথমে দৌলতপুর থানায় যায়। ঘটনাস্থল তাদের থানায় না হওয়ায় তাদের খালিশপুর থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাত ৩ টার দিকে আসমিদের গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায়
তবে আসামিরা জবানবন্দিতে কিশোরীর বন্ধু মারুফকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
