নড়াইলে স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

নড়াইল সদর প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার রাতে স্বামী খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর বিরুদ্ধে চারমাসের গর্ভবতী মৌসুমী খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন>>>৯০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল চাখারের সেই ১২ শিশু-কিশোর
নিহত মৌসুমী খাতুন যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার সীমাখালী গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে খায়রুল মোল্যা ওরফে মানোর সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার উত্তর নলিতাদহ গ্রামের মোতালেব মিয়ার মেয়ে মোসা: মৌসুমী খাতুনের বিয়ে হয় প্রায় ৮বছর আগে।
আরও পড়ুন>>>যশোরের শার্শার ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা বৃদ্ধ আটক
বিয়ের পর তাদের ঘরে মারিয়া (৭) ও চাঁদনী (৮মাস) নামে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।বিয়ের পর থেকে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া কলহ লেগে ছিল।
মৌসুমী খাতুনের পিতা মোতালেব মিয়া জানান, আমার চারমাসের গর্ভবতী মেয়ে মৌসুমী সোমবার রাত প্রায় ১১টার সময় আমাকে মোবাইলে ফোনে জানায়,আব্বা আমাকে বাঁচাও।আমি খুব বিপদে আছি।তখন আমি তাকে নানা ধরনের কথা বলে শান্তনা দেই।পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পাই মেয়ে মারা গেছে।খবর পেয়ে দ্রুত সীমাখালী জামাই বাড়ি এসে দেখতে পাই মেয়ের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন।কান দিয়ে রক্ত পড়ছে।
আরও পড়ুন>>>সিলেটের বিয়ানীবাজার গজুকাটা সীমান্তে প্রাচীন মসজিদ পুনর্নির্মাণে ভারতের বাধাঁ
স্থানীয় কয়েকজন আমাকে জানায় মানো সোমবার রাতে সীমাখালী ঘাটে জুয়া খেলছিল।মৌসুমী এসে মানোর জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় ঘটনাস্থলে সে আমার মেয়েকে মারপিট করে।পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে ওই রাতে আমার মেয়েকে হত্যা করে গলায় রশি ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।আমি আমার মেয়ে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
গৃহবধুর ফুফাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খায়রুল মোল্যা ওরফে মানো নেশাগ্রস্ত ও জুয়াখেলায় আসক্ত ছিল।আমার বোন এসবের প্রতিবাদ করলে তাকে প্রায় মারপিট করতো।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইলিয়াস হোসেন জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ।