হত্যা মামলায় আটক হওয়া মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ইউনুসের জামিন চেষ্টা ব্যর্থ
স্টাফ রিপোর্টার: হত্যা মামলায় আটক হয়ে জেলখানায় থাকা যশোর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ইউনুস আলীর জামিন করানোর চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে সেই বিশেষ মহলটির । মোটা অংকের অর্থ নিয়ে সাময়িক বহিস্কার ঠেকিয়ে চাকরি বাচিয়ে দেয়া বুলি আওড়ানো সেই মদ্যপ চক্রটিও ও এখন চুপসে গেছে। তারা উচ্চ আদালতে দৌড়ঝাঁপ করলেও জামিন নামন্জুর হচ্ছে। বহু বিতর্কিত ইউনুস আলী বাঘারপাড়ার প্রেমচারা গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে। আটক হয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে চুড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুত চলছে।
যশোরের বাঘারপাড়ার চানপুরের চাঞ্চল্যকর ছবেদ আলী হত্যাকান্ডে উইনুস আলী জড়িত বলে নিহতের ছেলে ইলিয়াস হোসেন থানায় মামলা করেন। নানা কৌশলে ওই মামলায় আটক এড়িয়ে চলছিলেন ফার্মাসিস্ট ইউনুস আলী। বছরের পর বছর অফিস টাইম মেনে না চলা ইউনুস আলী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে পারলেও পুলিশের অপর একটি ইউনিট তাকে আটক করে। ছবেদ আলী হত্যা মামলায় তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। এদিকে আটক হওয়ার পর তিনি তার ভাইপো নাসির উদ্দিনকে দিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাতে লেখা একটি ছুটির দরখাস্ত পাঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামানের কাছে, যেটা ইউনুস আলীর সহি নয় বলে অনকে সন্দেহ পষন করেন। তিনি পারিবারিক কাজের কথা বলে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়টি খোদ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অনেকে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন জেলখানায় রয়েছেন ইউনুস আলী। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।
এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর অফিসে যোগদান না করায় ৪ অক্টোবর তাকে শো’কজ করেন অফিস প্রধান মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ওই নোটিশের জবাব এখনও আসেনি বলে একটি সূত্র জানায়।
ওই সূত্রের দাবি, চৌগাছার ফুলসারায় পোস্টিং হলেও নানা ফন্দি ফিকির করে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় তিনি প্রায় এক যুগ ডেপুটেশন নিয়ে আছেন যশোর মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। নানা অনিয়ম দুনীতিতে জড়িয়ে হয়েছেন বিতর্কিত। সকাল ৯টায় অফিস হলেও অফিস ফাঁকির শিরোমনি হিসেবে খ্যাত এই ইউনুস আলীকে সকাল সাড়ে ১০ কখনও বেলা সাড়ে ১১টায় লোকজন নিয়ে খোসগল্পে লিপ্ত থাকতে দেখা যেত। সীমাখালি বাজারে জাকির ফার্মেসি খুলে সেখানে নিজে ডাক্তারিও করতেন। তার ব্যবসার একটি অংশ দেখভাল করেন ভাইপো নাসির উদ্দিন। এদিকে তিনি জেলে থাকায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা অফিরসর এক মদ্যপ দায়িত্ব নিয়েছিলেন তাকে জামিন করাতে। দৌড়ছাঁপ করছেন উচ্চ আদালতে। ১৩ অক্টোবার জামিন আবেদন নামন্জুর হয়ায় ভেঙ্গে পড়ে দায়িত্ব নেয়া ওই চক্রটি। তারা ছুটি নেয়া সময়ের আগেই তার জামিন করিয়ে চাকরি বাঁচিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছলও শেষ রক্ষা হচেছনা। নানা অপকম ও মদ খাওয়া সাথীর জন্য জেলার অফিসের ওই মদ্যপের সাথে যোগ দিয়েছেল আরো কয়েকজন।
এ ব্যাপারে কথা হয় যশোর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস প্রধান আসাদুজ্জামানের সাথে। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ছুটি চেয়ে লোক মাধ্যমে দরখাস্ত পাঠান। ২৯ সেপ্টেম্বর অফিসে যোগদান না করায় ৪ অক্টোবর শো’কজ করা হয়েছে। তিনি জেলে আছেন তা এখন পরিস্কার। তার বিরুদ্ধে উপরে চুড়ান্তভাবে লেখা হয়েছে। দোষী প্রমানীত হলে ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।