হত্যা মামলায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ইউনুস আলীর জামিন নামন্জুর

স্টাফ রির্পোটার (যশোর)  একটি হত্যা মামলায় আটক হয়ে যশোর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ইউনুস আলী এখন জেলখানায়। জামিন পেতে তার পক্ষীয়রা এখন উচ্চ আদালতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। আজ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবার জামিন হয়ার কথা থাকলেও জামিন নামন্জুর করে আগামী রবিবার ১৮অক্টোবার  পরবর্তী  তারিখ ধার্য করেন আদালত। ইউনুস আলী বাঘারপাড়ার প্রেমচারা গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে। আটক হয়ে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকয় তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে মিথ্যাচার করে ছুটির আবেদন পাঠানোই তাকে নিয়ে তুমুল হৈচে শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেক্টরে

যশোরের বাঘারপাড়ার চানপুরের চাঞ্চল্যকর ছবেদ আলী হত্যাকান্ডে উইনুস আলী জড়িত বলে নিহতের ছেলে ইলিয়াস হোসেন থানায় মামলা করেন। নানা কৌশলে ওই মামলায় আটক এড়িয়ে চলছিলেন ফার্মাসিস্ট ইউনুস আলী। বছরের পর বছর অফিস টাইম মেনে না চলা ইউনুস আলী থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে পারলেও পুলিশের অপর একটি ইউনিট তাকে আটক করে। ছবেদ আলী হত্যা মামলায় তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। এদিকে আটক হওয়ার পর তিনি তার ভাইপো নাসির উদ্দিনকে দিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাতে লেখা একটি ছুটির দরখাস্ত পাঠান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামানের কাছে, যেটা ইউনুস আলীর সহি নয় বলে অনকে সন্দেহ পষন করেন। তিনি পারিবারিক কাজের কথা বলে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়টি খোদ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অনেকে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন জেলখানায় রয়েছেন ইউনুস আলী। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।
এদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর অফিসে যোগদান না করায় ৪ অক্টোবর তাকে শো’কজ করেন অফিস প্রধান মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ওই নোটিশের জবাব এখনও আসেনি বলে একটি সূত্র জানায়।
ওই সূত্রের দাবি, চৌগাছার ফুলসারায় পোস্টিং হলেও নানা ফন্দি ফিকির করে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় তিনি প্রায় এক যুগ ডেপুটেশন নিয়ে আছেন যশোর মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। নানা অনিয়ম দুনীতিতে জড়িয়ে হয়েছেন বিতর্কিত। সকাল ৯টায় অফিস হলেও অফিস ফাঁকির শিরোমনি হিসেবে খ্যাত এই ইউনুস আলীকে সকাল সাড়ে ১০ কখনও বেলা সাড়ে ১১টায় লোকজন নিয়ে খোসগল্পে লিপ্ত থাকতে দেখা যেত। সীমাখালি বাজারে জাকির ফার্মেসি খুলে সেখানে নিজে ডাক্তারিও করতেন। তার ব্যবসার একটি অংশ দেখভাল করেন ভাইপো নাসির উদ্দিন। এদিকে তিনি জেলে থাকায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কয়েকজন দায়িত্ব নিয়েছেন তাকে জামিন করাতে। তারা দৌড়ছাঁপ করছেন উচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবার জামিন নামন্জুর হয়ায় ভেঙ্গে পড়ে দায়িত্ব নেয়া ওই চক্রটি। আমরা  ছুটি নেয়া সময়ের আগেই তার জামিন করিয়ে চাকরি বাঁচিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে ওই চক্রটি।

এ ব্যাপারে কথা হয় যশোর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অফিস প্রধান আসাদুজ্জামানের সাথে। তিনি  জানিয়েছেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ছটি চেয়ে লোক মাধ্যমে দরখাস্ত পাঠান। ২৯ সেপ্টেম্বর অফিসে যোগদান না করায় ৪ অক্টোবর শো’কজ করা হয়েছে। তিনি জেলে আছেন কিনা এ তথ্য তার কাছে নেই। তবে লোক মুখে তিনি জানতে পেরেছেন। হত্যা মামলায় জেলে যান। দোষী প্রমানীত হলে ডিপার্টমেন্ট তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here