অ্যান্টার্কটিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড আজ
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২জুলাই) জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপি।
আরও পড়ুন>>>রানী ভিক্টোরিয়া-এলিজাবেথের ভাস্কর্য ভাঙচুর
ডব্লিউএমও বলছে, ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টিনার এস্পারাঞ্জা রিসার্চ স্টেশনে ওই তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়।
ডব্লিউএমওর মহাসচিব পেত্তেরি তালাস বলেন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রার এই রেকর্ড যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই তাপমাত্রা বিশ্বের এই প্রান্তের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে একটি চিত্র তুলে ধরতে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের দ্রুত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যান্টার্কটিকা। গত ৫০ বছরের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকায় তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রার নতুন এই রেকর্ড জলবায়ুর যে পরিবর্তন আমরা লক্ষ করেছি, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন>>>রংপুর মহানগরে বসানো হয়েছে ২০টি চেকপোস্ট
২০১৫ সালের ২৪ মার্চ আর্জেন্টিনার এস্পারাঞ্জা রিসার্চ স্টেশনে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকা উপকূলে গড় বার্ষিক তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মহাদেশের অন্য এলাকায় এই তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন>>> নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন
ডব্লিউএমওর সেক্রেটারি জেনারেল পেত্তেরি তালাস বলেন, সুমেরু অঞ্চলের (আর্কটিক) চেয়ে অ্যান্টার্কটিকার জলবায়ু কম পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ অঞ্চলের আবহাওয়া পূর্বাভাসও কম দেওয়া হয়। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠে উচ্চতার ক্ষেত্রে দুটি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন>>>ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার ৭দিন পর ফের আটক করল পুলিশ
ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠের তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। খরা, দাবদাহ, এবং মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় বেড়ে যাওয়ার পেছনে এর ভূমিকা রয়েছে। আর অ্যান্টার্কটিকার তাপমাত্রা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ায় গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার উপরিভাগের বরফের স্তর গলে যেতে পারে। বরফ গলা পানিতে সাগরের উচ্চতা ৪৩ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। ডব্লিউএমওর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের প্রধান সেলেস্তে সাওলো বলেন, তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।