১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

আ.লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
এপ্রিল ৮, ২০২২
18
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
আ.লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
ছবি- সংগৃহীত | ছবি : আ.লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ করে ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র আমি পেয়েছি।

পদত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয়, সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান বাবু, যুগ্ম সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, আইন সম্পাদক বাবুলাল সাহা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ, দপ্তর সম্পাদক ছালাম খন্দকার, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাইয়ুম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা. সিরিয়া বেগম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আবুল কাশেম, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লিটন সরকারসহ ৪৫ নেতাকর্মী।

পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় বলেন, সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত। সম্প্রতি তিনি নিজের বাহিনী দিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন করিয়েছেন। অপর দুই সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান ও এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে দিনে দুপুরে মারপিট গালিগালাজ করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে। এসব বিষয় নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতি ছিলেন। সভায় আমরা ৪৫জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>এবার টিপ পরা সহশিল্পীদের হিজাব পরে ছবি দিতে বললেন সিদ্দিক

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আব্দুল মালেক খান চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে বিভিন্ন সরকারী খাস জায়গা দখল, ঘর-বাড়ীসহ সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা দূর্নীতিসহ চাদাবাজী করে চলছে।

জামায়াত-বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিজ গ্রুপে ভিড়িয়ে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারধর, চাঁদাবাজি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নেওয়াসহ সব অপকর্মের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি, ঠিকাদারী ব্যবসায় ও জলমহাল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। এসব কাজে বাধা দেওয়ায় আব্দুল মালেক খানের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা এখন এলাকাছাড়া।

অভিযুক্ত ১নং ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্যরা বিএনপি-জামায়াতের সাথে মিলে ইউনিয়নে নানা অপকর্ম করে আসছে। আমি বাঁধা দেওয়া আমার নামে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।

জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি। সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram