ইচ্ছা ছিল পায়রা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাব: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার কারণে আমরা সবাই ঘরে বন্দী। আমার খুব ইচ্ছা ছিল যে স্থান দিয়ে নদীপথে যাওয়া-আসা করেছি সেই নদীপথের ওপর নির্মিত সেতুর ওপর গাড়ি চালিয়ে যেতে। সেখানে গাড়ি চালিয়ে যাব, গাড়ি থেকে নেমে সেতুর ওপর একটু দাঁড়াব। করোনার কারণে পারলাম না। সেটা হবে ইনশাআল্লাহ। আমি আসবো।
পায়রা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে রোববার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
তখন এই গুরুত্বপুর্ণ সেতু নির্মাণে দেশ ও বিদেশের যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উদ্বোধনের পরপরই যান চলাচল করতে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় দেশের বৃহত্তম চার লেনের এই সেতুটি।
আরও পড়ুন>>>মেক্সিকোতে পুলিশ-সন্ত্রাসী গোলাগুলিতে নিহত ৪
বরিশালের বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলাকে সংযোগ করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ সেতুটি পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা থেকে ১৩৪ কি.মি. দূরে অবস্থিত। ইচ্ছা ছিল পায়রা সেতু
বরিশাল নগরী থেকে ২৯ কি.মি, পটুয়াখালী সদর থেকে ১১ ও কুয়াকাটা বাস টার্মিনাল থেকে এর দুরত্ব ৭৯ কি.মি। সেতুর উত্তর দিকে ওজন স্কেল এবং দক্ষিণ দিকে ইলেকট্রনিক টোল প্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>সাতক্ষীরায় প্রতিবন্ধীর দোকানে আগুন জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ
পায়রা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা, যার ৮২ ভাগ অর্থ বহন করছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং এপেক ফান্ড। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই শুরু হয়।
১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুর উভয় পাড়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। নদীশাসনের কাজও প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ইচ্ছা ছিল পায়রা সেতু
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে।