১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

ঈদের ভরা মৌসুমেও লাভের মুখ দেখেনি বেলকুচির তাঁত শিল্প মালিকরা

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
মে ১, ২০২২
19
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
ঈদের ভরা মৌসুমেও লাভের মুখ দেখেনি
ঈদের ভরা মৌসুমেও ব্যবসায় লাভবান হতে পারছেনা বেলকুচির তাঁত শিল্প | ছবি : ঈদের ভরা মৌসুমেও লাভের মুখ দেখেনি

সিরাজগঞ্জ (বেলকুচি)প্রতিনিধিঃ ঈদের ভরা মৌসুমেও ব্যবসায় লাভবান হতে পারছেনা বেলকুচির তাঁত শিল্প ব্যবসায়ীরা। বিগত ২ বছরে করোনা কালীন সময়ে সিরাজগঞ্জ বেলকুচির অধিকাংশ ছোট ও মাঝারি তাঁত শিল্প ব্যবসায়ীরা ঝরে পড়েছে।

বন্ধ হয়ে গেছে বেলকুচির অধিকাংশ লুঙ্গি ও শাড়ি উৎপাদন কারী কারখানা। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক তাঁত শিল্প মালিক ও শ্রমিকরা ।

আরও পড়ুন>>>ঈদের দিন যেসব স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা

আবার যারাও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারাও নিয়মিত তাঁত চালাতে পারছে না পুঁজি সংকটে। সুতার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় পুঁজি খাটাতে হচ্ছে দ্বিগুণ। এর ফলে যায় তাঁত আছে ৩০ টি সে তাঁত চালিয়ে যাচ্ছে ২০ টি। যায় ফলে তাঁতীদের মাঝে মাঝে কর্মহীন বসে থাকতে হয় । এতে তাদের সংসার চালাতে অনেক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে ধার দেনা ঋণ করে সংসার চালায়।
ঈদের ভরা মৌসুমেও লাভের মুখ দেখেনি
তাঁত শিল্প মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়। করোনা কালীন সময়ে তারা ব্যবসায়ে যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তা এই ঈদ মৌসুমে পুষিয়ে নিতে পারবেন এমন টা আশা ছিল তাঁদের । কিন্তু সুতার মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় লুঙ্গি ও শাড়ি উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অনেক গুন। সে তুলনায় বাজারে লুঙ্গি ও শাড়ির দাম বাড়েনি। যে সুতার দাম আগে ছিল ১০,০০০/ টাকা কাটুন তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮,০০০ - ৩০,০০০/- টাকা কাটুন। অথচ লুঙ্গির প্রতি থানে দাম বেড়েছে মাত্র ১০০ টাকা ( ১ থান=৪পিচ)। শুধু সুতার দামই নয় বেড়েছে রং সহ তাঁত সামগ্ৰীর প্রত্যেকটি পণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা জানান এ অবস্থায় তাদের ব্যবসায় লাভ তো দূরের কথা অনেকেরই ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই দেওলিয়া হয়ে পড়েছেন। অনেকে ফ্যাক্ট্ররী, জায়গা জমি বিক্রি করে কোন রকম ব্যাংক ঋণ শোধ করে পাড়ি জমিয়েছেন ঢাকাতে।
ঈদের ভরা মৌসুমেও লাভের মুখ দেখেনি
উল্লেখ্য বেলকুচিতে অনেক ছোট ও মাঝারি ধরনের ব্যবসায়ীদের বাড়িতে ঝুলছে তাঁত ও জায়গা জমি বিক্রি করার সাইনবোর্ড। অথচ প্রতি বছর রমজানের ঈদকে সামনে রেখে রোজার ৩-৪ মাস আগে থেকেই শাড়ি ও লুঙ্গির মজুদ করে রাখে তাঁত মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

রমজানের ঈদে ব্যপক পরিমাণে বিক্রি বেড়ে যায়। কিন্তূ এ বছর গত ২ বছরের ন্যায় এ বারও একই চিত্র । নেই বাজারে পণ্যের চাহিদা। আবার চাহিদা থাকলেও নেই কাঙ্খিত দাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram