ডেস্ক রিপোর্টঃ ঈদে যশোরে ৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘনায় এক সেনা সদস্যসহ দু’জনের প্রাণ ঝরেছে সড়কে। পৃথক পৃথক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। দুজনের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন-মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদা বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য রাবিকুল ইসলাম রাব্বি ও যশোর সদর উপজেলার বড় বলিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৭০ উর্দ্ধ মোকবুল হোসেন। রাব্বি ছুটিতে বাড়ি এসে মোটরসাইকেল ড্রাইভ করা শিখছিলেন। তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে যশোর-মনিরামপুর সড়কে বেগারিতলায় পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজু নামে এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির মোটরসাইকেলে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রাব্বির মৃত্যু হয়। অন্যদিকে রাজু ও তার স্ত্রী আহত হন। রাজ দম্পতি যশোর শহরের নীলগঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা।

এরবাইরে কেশবপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘনায় আহত হয়েছেন সাহাদ আহমেদ নামে এক যুবক। তিনি মোটরসাইকেলের আরোহি ছিলেন। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে চালক বেঁচে গেলেও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এখন আরোহী সাহাদ। অপরদিকে, সীমান্ত উপজেলা শার্শার লাউতারা গ্রামের মিরাজ পায়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এরমধ্যে দানবের গতিতে ছুটে আসা একটি মোটরসাইকেল তাকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মিরাজ গুরুতর আহত হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, একইদিনে বাঘারপাড়া উপজেলার মহিরন গ্রামের বজলুর রহমান নামে এক বৃদ্ধ প্রাইমারী স্কুল মাঠে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কায় দেয়। এতে গুরুতর আহন হন এই বৃদ্ধ। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

ঈদের সকালে যশোর সদর উপজেলার রাজারহাট মোল্লাপাড়া সড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আকাশ নামে এক যুবক ও রাহুল নামে এক কিশোর আহত হন। তারা দুজনই মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছিলেন। এরমধ্যে আকাশকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। হাসপাতাল, পুলিশ ও হতাহতদের তথ্যমতে, ঈদের দিন বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শুধুমাত্র মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। এতে দুজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎকরা।