২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

কলারোয়ার মানিকনগর গ্রামবাসীকে হয়রানীর প্রতিবাদে গণসমাবেশ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
অক্টোবর ২৩, ২০২০
8
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

কলারোয়া (সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ কলারোয়ার মানিকনগর গ্রামবাসীকে হয়রানীর প্রতিবাদে শুক্রবার (২৩অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবশে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত জোহর আলী মোড়লের ছেলে আরিজুল ইসলাম বলেন,উপজেলার মানিকনগর গ্রামের ফামেমা খাতুন ও বেবি খাতুনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে। বেবি খাতুনের স্বামী আঃ মাজেদ গাজী ৭/৮ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকে। সে দীর্ঘদিন স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে কোন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হয়েও ধানদিয়া চৌরাস্তা বাজারে একটি ঘর ভাড়া করে আহসান নগর গ্রামের গোলাম হোসেনকে নিয়ে অবৈধ ভাবে রাত্রি যাপন করে এবং দিনের বেলায় সে স্থানীয় বাড়িতে থাকে।

এ অসামাজিক কর্মকান্ডের জন্য স্থানীয় লোকজন দুজনকে অভেদ মেলামেলা অবস্থায় ধরে সরসকাটি পুলিশ ফাড়ির এসআই আসাদ কে অবগতি করা হলে। তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাইলে উক্ত বেবি খাতুন মানুষের সামনে চিল্লাইয়া বলতে থাকে আমি পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দেব। বিষয়টি ওসি সাহেবকে জানানোর পরে খারাপ মেয়ে বিধায় হাঙ্গায় না জড়িয়ে ছেড়ে দিয়ে আসে।

এর কিছুদিন পরে ওই বেবি খাতুন তার শশুরের নামে কলারোয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেয়। তদানিন্তন থানার ওসি মনির উল গীয়াস ঘটনা তদন্ত করে মিথ্যা প্রমান হওয়ায় মামলা না নিয়ে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। তার পরে ফাতেমা খাতুন ১৭জুন-২০তারিখে আঃ কাদেরসহ ৫জনের নামে ধর্ষণ প্রচেষ্টার অভিযোগ করে। থানার ওসি সাহেব তদন্তে মিথ্যা প্রামানিত হওয়ায় মিমাংসা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে বেবি খাতুন বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। মামলাটি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কোর্টের নির্দেশে শেখ ফারুক হোসেন সরেজমিনে তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে মর্মে কোর্টে রিপোর্ট প্রদান করেন। ফাতেমা খাতুন জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু ও মানিকনগর ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলামসহ ৬জনের নামে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ধর্ষণ প্রচেষ্টার একটি মামলা করে। যা সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের নিকট তদন্তধীন রয়েছে। এছাড়া এলাকার বহু সম্মানি লোকের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ এনে শালিস বিচারের মাধ্যমে বহু সম্মানি লোকের মান সম্মান নষ্ট করেছে। গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোস্তাজুল হক ভোলার বাড়ীর পাশে ডাক চিংকার করতে থাকে আমি শুনতে পেয়ে আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশকে পাঠাইয়া কি বিষয় জানতে চাইতে তারা ফিরে এসে বলে যে, আমার ভাই নজরুল তাকে ধর্ষন করেছে। বিষয়টি শোনার সাথে সাথেই আমি আমার ভাই নজরুলের ঘরের সামনে যাই। এবং ভাবিকে জিজ্ঞাসা করি ভাই কোথায় ভাবি জানায় তার শরীর খারাপ ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে। এহের মিথ্যাচার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থনে যেয়ে দেখি আমাদের একটি মৎস্য ঘের নিয়ে প্রায় ৫ মাস যাবৎ যারা আমাদেরকে বে-দখল করতে থানায় ও আদালতে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে তাদের অন্যতম মুন্তাজুল ভোলা তার ছেলে মাহাবুব, শহিদুল গাজীসহ আমাদের বিপক্ষীয়রা ঐ মেয়ে ক নিয়ে বলতে থাকে তুই ঠিকঠাক মত বলিশ, চল পুলিশের কাছে যাবো। আমি এই ষড়যন্ত্রের কথা সরসকাটি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ তৌফিক সাহেবকে জানায়। এসময় তৌফিক সাহেব তাৎক্ষনিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে হাজির হয়। সেখানে বহু লোক জড়ো হয়। সকলেই বিষয়টি আমাদের বিরোধীয় পাটি ও লোকজনেরা এই ঘের দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে এই নষ্ট মেয়েকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতেছে বলে প্রমানিত হয়। আমরা এলাকাবাসী এই দুই বোনের হাত থেকে পরিত্রান পেয়ে চাই। এরা নিঃলজ্জভাবে সম্মানী লোকের সম্মান নষ্ট করে অর্থ আদায়ের ফাদ তৈরী করেছে। এছাড়া গত বুধবার দুপুরের পর তিনি ওই মেয়ে কলারোয়া বাজারে যান বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কেনাকাটা করার জন্য। জিনিসপত্র কেনাকাটা শেষে তিনি সন্ধ্যার পর জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের বলফিল্ডের পাশের ইটের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের নজরুল, মানিকনগর গ্রামের মোস্তাজুল ও শাহিনু নামে তিন যুবক মোটরসাইকেল যোগে এসে তার গতিরোধ করে তাকে জোরপূর্বক সেখানকার একটি বাগানে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে মুখে কাপড় (স্কাফ) ঢুকিয়ে ছুরি ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই সাতীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এটি সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই না। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন-এরকম ঘটনায় তার মা আমার কাছে কোন অভিযোগ দেননি বা আসেনি। মানিক নগর গ্রামের আঃ বারী গাজীর ছেলে সাজ্জাত গাজী ও তকব্বর মোল্লার ছেলে আঃ হামিদ জানান-ঘটনাটি তাদের পূর্ব পরিকল্পতি ও সিনেমা কায়দায় সাজিয়েছে। তাদের নামে অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে মোস্তাজুল (৩৩) আখ ও কথা ব্যবসায়ী, শাহিনুর মোড়ল ইলেক্টনিক্্র এর দোকান রয়েছে এবং নজরুল ইসলাম একজন সমাজসেবক ও সফল মাছ ব্যবসায়ী। ওই মেয়ে যে ঘটনার সময় দিয়ে তাদের ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে সে সময় তারা তাদের দোকানে বসে মালামাল বিক্রয় করছিলো। আমরা তাদের দোকানে বসে ছিলাম। এর কিছুক্ষন পরে শুনি যে ওই তিনজন নাকি ওই মেয়েকে ধর্ষন করেছে। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের দোকান মানিকনগর গ্রামের স্কুল মোড়ে খোলা ছিলো। সে সময় ওই দোকানের পাশের দোকানদার সাংবাদিক আব্দুর রহমানও বসে ছিলেন। কি অবাক ব্যাপার সবাই দেখলে যে তারা তাদের দোকানে বসে মালামাল বিক্রয় করছে অথচ আবার ওই সময় তারানাকি ওই মেয়েকে ধর্ষন করেছে। এদিকে ওই এলাকার মোস্তফা গাজী, আঃ রহমান, শহিদুল ইষরাম, কাদের গাজী, গফ্ফার গাজী, আছির উদ্দীনসহ আরো অনেকে জানায়,ওই দুই মেয়ের কারছে তারা পুরা গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠত হয়ে উঠেছে। কোন কারণ ছাড়াই সাধারণ মানুষের নামে হয়রানীমুলক মিথ্যা ধর্ষনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তার এর পরিত্রান পেতে তদন্ত পূর্বক জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিকে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল জানান, তিনি এ রকম একটি ঘটনা শুনেছেন। তবে, এর আগেও ওই তরুণী কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ দিয়েছিলেন বলেও তিনি শুনেছেন। তিনি আরো জানান, অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে অভিযুক্ত দুই বোনের মধ্যে একজন সাতক্ষীরায় ও আরেক জনের ফোন বন্ধ থাকায় তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram