সাতক্ষীরার কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে দুই পদে এক কর্মচারী
জুলফিকার আলী,কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারীর দুই পদে চাকুরি করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬জুন)সকালে কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের গভনিং বডির সদস্য সন্তোষ কুমার পাল জানান-কলেজটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই কলেজে ১৯৯৬সালে অসিত কুমার রায় চৌধুরী হিসাব সহকারী পদে চাকরি নেয়। এর পরে ২০০৯ সালে হিসাব সহকারী পদে চাকরি করা কালিন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কর্মচারী ২০০৯সালে ডিগ্রী অনুষদে ইতিহাস বিষয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে প্রভাষক পদে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন>>>চুয়াডাঙ্গায় কলেজের ৬০লাখ টাকা সভাপতির পকেটে, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
অথচ অসিত রায় চৌধুরী তার প্রভাষক পদের নিয়োগের বিষয়টি মাউসি কর্তৃপক্ষকে গোপন রেখে ১৯৯৪সাল থেকে ২০২২সালের মে মাস পর্যন্ত সহকারী হিসাব পদে বেতন উত্তোলন করেন।
২০০৯ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ ও যোগদানের সত্বেও ২০২২সালের মে মাস পর্যন্ত হিসাব সহকারী পদ পরিত্যাগ না করায় প্রভাষক পদে তার উক্ত নিয়োগ এর আর কোন বৈধতা থাকার সুযোগ নেই।
বিষয়টি বর্তমান গভর্নিং বোডির নজরে এলে উক্ত কর্মচারীকে যে কোন একটি পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার অনুরোধ করায় তিনি গত ২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বোডির মিটিংয়ে হাজির হয়ে প্রভাষক পদ থেকে লিখিত ভাবে ইস্তফা দেন। যাহা গভনিং বডি কর্তৃক গৃহিত হয়।
কলেজে দুই পদে এক কর্মচারী
ওই সময় কলেজ রেজুলেশন বহিতে যথারীতি লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু সম্প্রতি কলেজটি ডিগ্রী অনুষদ মাউশি কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত হওয়ায় কলেজ অধ্যক্ষ উক্ত হিসাব সহকারী অসিত কুমার রায় চৌধুরীর চলতি জুন মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা গ্রহনের বিষয়, প্রভাষক পদে ইস্তাফাপত্র ও গভর্নিং বডির রেজুলেশনকে গোপন করে অবৈধ ভাবে ২০০৯ সাল থেকে প্রভাষক পদে তার চাকুরি দেখিয়ে এমপিও ভুক্তি করার আবেদন করলে বিষিয়টি ফাঁস হয়ে পড়ে।
ওই কলেজর এক প্রভাষক বলেন-প্রতিষ্ঠানিক চাকরীবিধি ও দেশের প্রচালিত আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই প্রতিষ্ঠানে যুগোপৎ দুটি পদে অধিষ্ঠিত থাকা বেআইনী এবং চাকরী বিধিমালা পরিপন্থী।
কলেজে দুই পদে এক কর্মচারী
এবিষয়ে অভিযুক্ত অসিত কুমার রায় চৌধুরীর ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।