২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

কেশবপুরে ভোটার উপস্থিতি কম

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
মে ৮, ২০২৪
16
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাঠে রয়েছেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে প্রয়োজনীয়সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, আনসার, র‍্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবার ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে পৌরসভার বাইরে ১১টি ইউনিয়নের ভোটাররা এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন।

আজ সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ৭১ জন ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৪৯৪ জন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব। এই কেন্দ্রে সকালে ভোট দেন কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাসিমা সাদেক (শালিক)।

ভোট দিতে আসা উপজেলার ভোগতী এলাকার শফিউদ্দিন মোড়ল (৭০) বলেন, ‘ইভিএমে ভোট দেওয়ার সময় বুঝতে অসুবিধা হওয়ায় ওখানকার স্যাররা (দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বুঝিয়ে দেন। পরে কোনো অসুবিধা হয়নি।’

কেশবপুর সাহাপাড়ার অলোক সাহা (৫৮) বলেন, ‘ভোট দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। ভালোভাবেই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।’ ভোট দিতে আসা কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভিএম হলো সময় উপযোগী পদ্ধতি। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভোট দেওয়া যায়। এই ভোটে কোনো এদিক-ওদিক করার সুযোগ নেই।’

এদিকে উপজেলার মধ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম লক্ষ করা গেছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটাররা চারজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন, তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হালিমের ছেলে মঙ্গলকোট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু (দোয়াত-কলম), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মুজাহীদুল ইসলাম পান্না (হেলিকপ্টার), বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমা আকতার সাদেক (শালিক) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান (ঘোড়া)। তাঁদের বাইরে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান (মোটরসাইকেল), ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ওবায়দুর রহমান (জোড়া ফুল) ও ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক (আনারস)।

এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক পলাশ কুমার মল্লিক (উড়োজাহাজ), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা (মাইক), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন সাহা (চশমা), আব্দুল্লাহ আল মামুন (তালা) ও মনিরুল ইসলাম (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রাবেয়া খাতুন (ফুটবল) ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মনিরা খানম (কলস)।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১১ হাজার ৭৭৫ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ১৭৭ জন ও হিজড়া ২ জন। মোট ৯৫টি কেন্দ্রের ৬৭০টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৯৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৬৭০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ৩৪০ জন পোলিং অফিসার।’

রবিউল ইসলাম আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটারদের নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram