কোনো শিশুকে ঘাতকের গুলিতে প্রাণ দিতে না হয়: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত। আগামীতে যেন কোনো শিশুকে ঘাতকের গুলিতে প্রাণ দিতে না হয়।
আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল দিবসের অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল শিশুকালেই ছিল মানবিক গুণসম্পন্ন এক শিশু।
বাবা মা সকলকে হত্যার পর সবার লাশের উপর দিয়ে খুনিরা শিশু রাসেলকে কেন হত্যা করলো? রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে শেখ রাসেল দিবস।
এই দিবসের মধ্যে দিয়ে আগামীর শিশুরা আত্মমর্যাদা নিয়ে বেড়ে উঠবে। শিশুরা নিজেদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে গড়ে উঠুকএমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের নিয়ে প্যারেড করতো। সে বড় ভাই শেখ জামালের মতো সেনা অফিসার হতে চাইতো।
বেঁচে থাকলে আজকে হয়তো সেনাবাহিনীর বড় অফিসার হতো। ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সেদিন রাসেল মায়ের কাছে যাবো বলে কান্না করছিল।
তাকেও হত্যা করা হলো। আমার একটাই প্রশ্ন এ শিশুটির কী অপরাধ ছিল? শেখ হাসিনা বলেন, ৭১ ও ৭৫ শিশুদেরও হত্যা করেছে ঘাতকেরা।
সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচনে। আবার ২০১৩ সালে বাসে আগুন দিয়ে শিশুসহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
আমরা এটা চাই না, শিশুরা অকালে ঝরে যাক। শিশুরা গড়ে উঠুক সুন্দর পরিবেশে। বাংলাদেশকে আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, শিশুরা আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে গড়ে উঠুক। তাদের প্রতিভা বিকশিত হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করুক।
আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে গড়ে তুলুক, সেটাই আমরা চাই। শেখ হাসিনা জানান, নোবেল লরিয়েট ফিলোসফার রাসেলের নাম অনুযাযী শেখ রাসেল এর নামকরণ করা হয়েছিল।
শেখ রাসেল দিবসে সারাদেশে শিশুদের ৪ হাজার ল্যাপটপ পৌঁছে দিয়েছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। একই সাথে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৯ জনকে পদক দেওয়া হয়।
শিশু রাসেলের নাম করণের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের পরিবারে পাঠাভ্যাস ভালো ছিল। সবাই বই পড়তো, পড়ে শোনাতো।
আব্বা নোবেল লরিয়েট বার্ট্রান্ড রাসেলের ফিলোসোফি মাকে শোনাতেন। তার ফিলোসোফি ব্যাখ্যা করতেন। তিনিও সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সে থেকে তার নাম রাসেল রাখা হয়।