নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার তালিকায় বিত্তবানরা
এ রহমান,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নে নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রবিবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সুপারিশের তালিকায় বাদ পরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ে মৌখিক অভিযোগ নিয়ে আসেন।
প্রকল্পবাস্তায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে ২০১৯ সালে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। ঐ কমিটি উপজেলা থেকে ২০৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। অফিস ঐ তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু এখন দেখা যায় ঐ তালিকায় একজনের নাম একাধিক বার রয়েছে। বর্তমানে নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৯ লাখ টাকার একটি বরাদ্ধ এসেছে যা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ জনকে দেয়া যাবে।
আরও পড়ুন>>>মেয়ের ধর্ষণের বিচার চেয়ে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
ইউনিয়ন পরিষদের তালিকায় নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাধ পড়া দেলোয়ার, জালাল, মালেক, শহীদ, জলিল, মিনারা সহ প্রায় ৪০ জন সুবিধাভোগী জানান, তাদের সরকারি বরাদ্ধ ১০ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে নেয় ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যার স্বামী মো. বাবুল গাজী।
পরে টাকা বরাদ্ধ বেশি জানতে পেরে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে যারা বেশি টাকা দিয়েছে তাদের নাম তালিকায় সুপারিশ করা হয়েছে। যাদের নাম তালিকায় সুপারিশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজন বৃত্তবানের নামও রয়েছে। এমনকি মহিলা ইউপি সদস্য তাজেদা বেগম এর স্বামী মো. বাবুল গাজীর নাপিতেরহাটে ১০টি দোকান থাকালেও তালিকায় তার নাম রয়েছে।
ফারুক নামে এক ব্যক্তির দোতলা ভবন দুই ছেলে বিদেশ থাকলেও তার নাম তালিকা রয়েছে। এছাড়াও গ্রতিগ্রস্ত না হয়েও পাকা ভবনের মালিক ব্যবসায়ী দুলাল মুন্সীর নামও বরাদ্ধে তালিকায় রয়েছে। যাচাই-বাছাই না করে তালিকা অনুমোদন দেয়ায় এমনটা হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত সহায়তার তালিকায় বিত্তবানরা
মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল আহম্মেদ জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তালিকায় বিত্তবানদের নাম থাকলে তা বাতিল করে পুনরায় তালিকা তৈরি করা হবে।
মহিলা সদস্যার স্বামী মো. বাবুল গাজী তার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, যারা আমার নির্বাচন করে নাই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত সহায়তার তালিকায় বিত্তবানরা
প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদ বলেন, তালিকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হয়েছে আমরা কিছুই জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, অনিয়ম থাকলে বিষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।