২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

খুলনার পাইকগাছায় উপকূলীয় এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
এপ্রিল ২০, ২০২১
10
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুুুলানার পাইকগাছায় উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন। এ বছর উপজেলায় ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও তরমুজের ফলনের কোন সমস্যা হয়নি।

আরও পড়ুন >>>রেকর্ড ছাড়াল তাপমাত্রা জনজীবনে হাঁসফাঁস

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তরমুজ পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফল। এর প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি। তরমুজ প্রচন্ড গরমে পানির চাহিদা পূরণ ও শরীর ঠান্ডা রাখে, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদপিন্ড ভালো রাখে। তরমুজ মানব দেহের হৃদরোগ,হাপানী, মস্তিকের রক্তক্ষরণ ও ক্যান্ডার প্রতিরোধ করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সুষ্ঠু রক্ত সঞ্চালন, মুখের ঘা, সর্দি, ঠান্ডা জ্বর প্রতিরোধ করে, কিডনি ভালো রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হাড়ের জোড়া মজবুতসহ চোখের সমস্যা দূর করে।

ঔষধী গুণের পাশাপাশি তরমুজ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় উপজেলার দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন তরমুজের আবাদ হয়ে আসছে।

গত বছর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে এবছর ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।যার মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ’ হেক্টর।

গড়ইখালী ইউপির প্রিতিষ মন্ডল ও দ্বিজেন মন্ডল জানান, আমরা দুজন সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি । এ জমিতে চাষ করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৩লক্ষ টাকা বেচা কেনা হবে।

তারা আরো বলেন আমরা একবিঘা জমিতে পানি, সার কিটনাশক ছাড়াই চাষ করেছি। দেখা গেছে পানি কিটনাশক ছাড়া চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এ এক বিঘা জমিতে প্রায় ১লক্ষ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

একই এলাকার প্রসনজিৎ ও দিপক জানান আমরা ৬ বিঘা জমিতে তরমুজচাষ করেছি। আমাদের মোট খরচ হয়েছে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আশা করছি ৬লক্ষ টাকার মত বিক্রি হবে।

দেলুটির দারুন মল্লিক এলাকার নিশিত জানান এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। বর্তমানে ফসলের অবস্থা খুবই ভালো। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। ফেব্রয়ারির মাঝামাঝি থেকে চাষ শুরু করা হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারজাত করা যায়। তরমুজ চাষে এক বিঘা জমিতে ১৫/১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সার-পানি দিলেই হয়। এক বিঘা জমির উৎপাদিত তরমুজ ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে অত্র এলাকার তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ ঢাকা, সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram