গরমে উত্তাল চুয়াডাঙ্গার আকাশ; জ্বলে যাচ্ছে চামড়া
জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ আষাঢ়ে গল্প কথাটা সামাজিকভাবে বহু আগে থেকেই প্রচলিত থাকলেও যার নামে নামকরণ বর্তমানে সেই আষাঢ়ের বর্ষা বিলুপ্তির পথে। আষাঢ় মানে ঘরবন্দী, আষাঢ় মানে লুডু খেলার আসর, সাথে মুড়িভর্তা আর আষাঢ়ের গল্প। সেই সময়কাল ড্রেন রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে টয়টম্বুর হয়ে থাকলেও বর্তমানে তার উল্টো চিত্র বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়।
আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আজ আষাঢ় মাসের শেষ দিন হলেও সারা মাসজুড়েই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত ঘটেনি চুয়াডাঙ্গায়। ফলে ঈদের দিন থেকে কয়েকদিন ধরেই হাইহুতাস গরমে কাহিল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। স্বাভাবিকভাবে কাজ কর্ম করতে পারছে না বিশেষ করে রাস্তায় চলা রিক্সা, ভ্যান, ফুটপথে বসা মানুষসহ দিনমজুরীরা। এতে দুর্মূল্যের বাজারে নানা ভোগান্তিতে পড়েছে ওইসকল নিম্ন আয়ের মানুষ।
আরও পড়ুন>>>যশোর জেলা যুবদল নেতা ধোনীর দাফন সম্পন্ন
গরম বাতাসের উত্তালে আর তীব্র তাপদাহে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে শরীরের চামড়া। বিশেষকরে রিক্সা ভ্যান দিনমজুরীসহ কাজ করতে পারছেনা ফুটপথে বসা বিভিন্ন পেশাজীবিরা। রোদের তাপে আর গরম বাতাসে হাই হাই করছে মানুষ। খুব বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেনা কেউই।
চুয়াডাঙ্গা বর্তমানে যানজটের অন্যতম সারিতে থাকলেও আজ বৃহস্পদিবার (১৪ জুলাই) রাস্তাঘাটে স্বাভাবিকভাবে চলেছে সকল যানবাহন। কোনরকম ভিড় ছিলনা রাস্তায়।
অপরদিকে, ঢাকার রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন ঈদ ফিরতি যাত্রীরা যানজটের বেড়াজাল থেকে অনেকখানি বের হতে পারলেও পারেনি আকাশের গরম বাতাস আর তীব্র তাপদাহ থেকে। প্রতিবারের মত এবার যাত্রার কষ্ট অনেকটাই স্বস্তিতে গেলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আকাশের গরম বাতাস আর তীব্র তাপদাও।
গরমে উত্তাল চুয়াডাঙ্গার আকাশ
পথেই রিক্সাচালক আনোয়ার হোসেন (৪৫) বলেন, প্রচুর গরম বাতাস আর রোদির তাপে রিক্সা চালাতে আর পারছিনা বাবা। বেলা ১২ টা বাজে এখনও বাড়িতে বাজার পাঠাতে পারিনি। হেবি গরস পড়ায় বাজারে লোকজনও নাই ভাড়াও নাই।
ফুটপথে বসা জুতা সেলাইকারী বলেন, ফাঁকা জায়গায় বসে কাজ করতে পারছি না। প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে সাইডে একটু ছায়ায় বসে আছি। বাজারে লোকজন নেই তাই কাজকামও নেই। আজ সারাদিন দুতিনটা কাজ করেছি যা অন্যদিন এর ৫/৭ গুন কাজ হয়।
গরমে উত্তাল চুয়াডাঙ্গার আকাশ
এ বিষয়ে আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক বলেন, আজ বৃহস্পতিবার তাপদাহ ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৭%।