৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

গেল বছরে সড়কে ঝড়েছে ৮ হাজার প্রাণ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ১৪, ২০২৪
66
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

ডেস্ক রিপোর্টঃ বিদায়ী ২০২৩ সালে সারাদেশে ছয় হাজার ২৬১টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৯০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৩৭২ জন।

এছাড়া এক বছরে রেলপথে ৫২০টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত এবং ৪৭৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত এবং ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক বছরে দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন তুলে ধরেন।

প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ২০২৩ সালে ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৭৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ৭১২ জন নিহত এবং দুই হাজার ৩৮১ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ২৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় এক হাজার ২০৫ জন নিহত, দুই হাজার ২৯৪ জন আহত হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৭৬৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৬৪ জন নিহত, এক হাজার ৭৮ জন আহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে ৩৮১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত, ৯৯২ জন আহত হয়েছেন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৪১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন নিহত, ৬৬৫ জন আহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৩ জন নিহত, ৯২৬ জন আহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে ৫৬৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬২৬ জন নিহত, ৮৬৮ জন আহত হয়েছেন ও রাজশাহী বিভাগে ৭৮৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯৩ জন নিহত এবং এক হাজার ১৬৮ জন আহত হয়েছে।

সড়কে দুর্ঘটনার শিকার এক হাজার ৯৫০ জন চালক, ৯৬৮ জন পথচারী, ৪৮৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী, ৯৭ জন শিক্ষক, ১৫৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯৮৫ জন নারী, ৬১২ জন শিশু, ৩০ জন সাংবাদিক, ৩২ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা, আটজন আইনজীবী, ১০ জন প্রকৌশলী ও ১১১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৭৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন- যাদের মধ্যে ১৬ জন সেনা সদস্য, ৪০ জন পুলিশ সদস্য, এক র‍্যাব সদস্য, সাতজন বিজিবি সদস্য, তিনজন নৌবাহিনীর সদস্য, তিনজন আনসার সদস্য, দুইজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, একজন এনএসআই সদস্য। এছাড়া রয়েছেন ১৩ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা, ১৫ জন সাংবাদিক, ৬৪৭ জন নারী, ৪৬৬ জন শিশু, ৪১৬ জন শিক্ষার্থী, ৮১ জন শিক্ষক, এক হাজার ৫২৬ জন চালক, ২৬০ জন পরিবহন শ্রমিক, আটজন প্রকৌশলী, সাতজন আইনজীবী, ৭৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ২২ জন চিকিৎসক।

সমিতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট দুর্ঘটনার ৫২.৮৩ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা, ২০.৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.২৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১১.৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৭ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং ০.৬৮ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, রাস্তাঘাটে নির্মাণ ত্রুটি ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram