চুয়াডাঙ্গায় আতঙ্ক; ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই
জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে চুয়াডাঙ্গায় যেখানে সেখানে ছোট বড় মারামারি কাটাকাটি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বেড়ে গেছে বিভিন্ন অপরাধ। ঘনঘন এমন ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ।
এর অংশ হিসেবে ২ সপ্তাহ আগেও চুয়াডাঙ্গার আন্দুলবাড়ীয়া-সড়াবাড়িয়া সড়কের সড়াবাড়িয়া গ্রামের শালিক চড়া নামক স্থানে এক ভয়াবহ গণডাকাতির ঘটনার পর এবার ফার্মেসি ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সন্দেহজনকভাবে একজনকে আটক করেছে জীবননগর থানা পুুলিশ।
আরও পড়ুন>>>গরমে উত্তাল চুয়াডাঙ্গার আকাশ; জ্বলে যাচ্ছে চামড়া
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে জীবননগর উপজেলার বাঁকা-সুটিয়া সড়কের লতিফ ব্রিকসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সেসময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে মিঠু নামের এক পথচারী। তার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়ার চেষ্টাকালে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসলে মিঠুর মোটরসাইকেল নিতে না পারলেও আশরাফুলের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আরিফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ি আসার পথে বাঁকা-সুটিয়া সড়কের লতিফ ব্রিকসের সামনে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা কুপিয়ে ১৫০ সিসির পালসার মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়েছে। তার সঙ্গে থাকা বেশকিছু টাকাও ছিল, সেগুলো নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা।
চুয়াডাঙ্গায় আতঙ্ক কুপিয়ে ছিনতাই
বিষয়টি নিশ্চিত করে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় বাঁকা-সুটিয়া সড়কের লতিফ ব্রিকসের সামনে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। আরিফুল নামে এক যুবককে হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। মিঠু নামে অপরজন চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে পিটিয়ে জখম করে মোটরসাইকেল না নিয়েই পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
চুয়াডাঙ্গায় আতঙ্ক কুপিয়ে ছিনতাই
এ ঘটনার বিষয়ে আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টার পর জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন, পরে কোথায় কখন বর্ণনা দিলে তখন তিনি বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।