চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের উন্নয়নের চেয়ারে বসলেন মনজু
আরও পড়ুন>>>যশোরে দ্বিতীয়বারের মত পিকুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত
এদিকে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান মেম্বারদের ভোটাধিকার থাকায় কোন রাস্তাঘাট বা পৃথক পৃথক স্থানে জাতীয় নির্বাচনের মত প্রচার প্রচারণা করার প্রয়োজন পড়েনি। তাই সীমাবদ্ধতা ছিল শুধুমাত্র সদর উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের অফিসকক্ষে। এ নির্বাচনে কোন মিছিল না হলেও একপ্রকার গুমটভাবেই পার করেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
ভোটে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনে জেলার ৪টি উপজেলার মতবিনিময়ের মাধ্যমে সকল জল্পনা কল্পনা করেছিলেন তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। যার সকল অবসান ঘটেছে আজ (১৭ অক্টোবর) সোমবার।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মঞ্জুর প্রতীক ছিল মোটরসাইকেল তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন একই দলের সাবেক যুবলীগ নেতা আরেফিন আলম রঞ্জু। সেই সাথে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম চশমা প্রতীক নিয়ে ভিড়েছিলেন ওই দুই শক্ত প্রার্থীর মাঝখানে। ওই তিন প্রার্থীই বিজয়ের লক্ষ্যে চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে মতবিনিময় করার মধ্যদিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছিলেন যার যার মত করে। যা নির্বাচনের সকল কার্যক্রম শেষ করে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ভোটে জেলার উন্নয়নের চেয়ারে বসার সুযোগ পেলেন মাহফুজুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বেসরকারিভাবে নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৬৫ ভোটের মধ্যে ৩১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সেইসাথে ভোটের আগে দেয়া জেলার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির দায়বদ্ধতায়ও জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। তবে তিনি প্রশাসকের চেয়ারে বসার যোগ্যতা অর্জনে সার্বিক দিকদিয়ে উন্নয়ন ও সরকারী তহবিল থেকে অসহায় মানুষের সেবা করার দায়িত্বও বুঝে পেয়েছেন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পযন্ত চলে ভোট গ্রহণের সকল কার্যক্রম। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরায় জেলার চার উপজেলার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশেই ভোট কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহফুজুর রহমান মনজু ৩১২ ভোটে বিজয়ী হয়ে প্রশাসকের পদে ভূষিত হয়েছেন। এ ভোটে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আরেফিন আলম রঞ্জু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন ২ ভোট।
এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন রিটানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান।
এ নির্বাচনে দুটি সংরক্ষিত সদস্য পদে ১০ জন এবং চারটি সদস্য পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার চার উপজেলায় নির্বাচনে ৫৬৫ জন ভোটার ইভিএম-এ ভোট প্রদান করেন ।