চুয়াডাঙ্গায় ঘর তালাবদ্ধ; ভিতরে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ
জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ চুয়াডাঙ্গায় ধারালো কাঁচি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত অবস্থায় দম্পত্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিজ ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী নজির উদ্দিন (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা বারোটার দিকে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার পৌর এলাকার পুরাতন বাজারে অবস্থিত তাদের নিজ ঘরের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আরও পড়ুন>>>নড়াইলে দেশীয় মদসহ দুই যুবক আটক
স্থানীয়রা জানান, সকালে নজির উদ্দিনের বাড়িতে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি করেন প্রতিবেশীরা। তাতেও কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিলে তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। নজির জমি জালিয়াতি চক্রের হোতা ছিলেন। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে নিহত দম্পতির জামাই অহিদুল ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের কাছে ফোন দেয়। বার বার ফোন দিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে বাড়িতে এসে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে আমাদের জানালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তালা ভেঙে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে তাদের হত্যা করা হয়েছে। গোসলখানা থেকে বৃদ্ধের হাত পা বাঁধা ও ঘরের মধ্যে থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। বৃদ্ধার পাশে পড়ে থাকা ছোট কাঁচি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে সিআইডিকে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘তাদের (দম্পতি) হত্যা করে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি। পিবিআই ও সিআইডি টিমকে খবর দেয়া হয়েছে।’
তিনি জানান, হত্যার পর নজির উদ্দিনকে ঘরের শৌচাগারে ও ফরিদাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। ফরিদাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে।