চুয়াডাঙ্গায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
জনি আহমেদ, চুয়াডাঙ্গাঃ দিন যতই যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকারের অভিযান ততই বাড়ছে। এতে করে মানুষ আস্তে আস্তে সচেতনও হচ্ছে। তারমধ্যেই কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ সেসব অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে অর্থদণ্ডও করছেন।
ভোক্তা অধিকারের এ অভিযানে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে ১১০০ টাকার টিএসপি সার ১৬৫০ টাকায় বিক্রির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিসিআইসি সারের ডিলার মেসার্স জনির উদ্দিন অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>ঝালকাঠির নলছিটিতে পুকুরে হাঁস নামায় দুই নারীকে চুবানী
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ ধারায এ অর্থদণ্ড করা হয়।
এর আগে ৩ আগস্ট ওই প্রতিষ্ঠানকে বেশি দামে সার ও মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রির অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক বন্ধ করা হয়।
এছাড়া একই অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি মালামাল তৈরীর অপরাধে মেসার্স মুসলিম বেকারিকে ২০ হাজার টাকা ও একই অপরাধে মেসার্স কনা আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
অভিযানে কনা আইসক্রিম ফ্যাক্টারীকে সবকিছু ঠিকঠাক না করা পর্যন্ত সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনটি প্রাতষ্ঠানকে সর্বমোট ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।
এ অভিযানে আইনের ৫৫ ধারা মোতাবেক ভোক্তা অধিকার বিরোধী কোন অপরাধে দণ্ডিত ব্যক্তি পুনরায় একই অপরাধ করলে তিনি আইনের নির্ধারিত দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হবেন বলেও সতর্ক করা হয়।
ভোক্তা অধিকারের এ অভিযানে এস আই লিটনের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমাণ অভিযানে সহযোগিতা করেন।