শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এসএম সুলতান নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা ও বাইচ শেষে শহরের বাঁধাঘাট চত্বরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ।
রাসেল সেতু থেকে এস এম সুলতান সেতু পর্যন্ত পুরুষদের এবং মহিলাদের শেখ রাসেল সেতু থেকে বাধাঘাট পর্যন্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন জেলার ছোট - বড় ১৮টি নৌকা অংশগ্রহন করে । এর মধ্যে মহিলাদের ৩ টি নৌকা রয়েছে ।
এই প্রতিযোগিতায় মহিলাদের প্রথম চিত্রাকলী , দ্বিতীয় কুসুম কলি ও তৃতীয় গানের পাখি ।
ছোট নৌকা খুলনার সোনার বাংলা প্রথম , বরগুনার জয় মা দুর্গা ও তৃতীয় হয়েছেন গোপালগঞ্জের জয় মা কালি ।
বড় নৌকা গোপালগঞ্জের মা শীতলা প্রথম , দ্বিতীয় হয়েছেন মাগুররার মায়ের দোয়া এবং তৃতীয় হয়েছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির সোনার তরি নৌকা ।
এ সময় চিত্রার দু'পাড়ে হাজার হাজার মানুষ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন ।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন , জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস , এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু প্রমূখ।
গোপালগঞ্জ থেকে আসা রকি বলেন , চিত্রা নদীতে সুলতানের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনেক নাম শুনেছি এবারই প্রথম দেখতে আসছি , সত্যিই অনেক ভালো লাগলো দেখে । সুযোগ পেলে আগামীতেও আসবো ।
বাগেরহাট থেকে নৌকা বাইচ দেখতে আসা সুজন রহমান বলেন , নড়াইলের এস এম সুলতান নৌকা বাইচ অনেক বড় পরিসরে হয়ে থাকে । তাই প্রতিবছর দেখতে আসি । অনেক ভালো লাগে এ প্রতিযোগিতা।
এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন , বরেন্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান সব সময় নদী - প্রকৃতিকে ভালোবাসতেন । তাই তো শিশুদের নিয়ে চিত্রা নদীতে ছবি আঁকার জন্য ‘ ভ্রাম্যমান শিশু স্বর্গ ’ তৈরী করেছিলেন । নৌকা বাইচ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি অনুষ্ঠান । নতুন প্রজন্ম অনেকে জানেনা এ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তাই আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ আয়োজন বলেও জানান তিনি ।
পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন , চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান একজন বরেন্য ব্যক্তি ছিলেন । তার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ।