২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

নড়াইল পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার শেখ কামাল আইটি

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
মে ২১, ২০২২
12
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
নড়াইল পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার
সংগৃহীত | ছবি : নড়াইল পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার

রিপন বিশ্বাস, নড়াইলঃ নড়াইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার বল্লেন মাশরাফি ।

শনিবার ( ২১ মে ) দুপুরে নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটের মাশরাফি বিন মুর্তজা তার ভেরিফাইফ ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেন ।

মাশরাফি লিখেন, সম্মানিত নড়াইলবাসী, আসসালামু আলাইকুম । অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, বহুল প্রত্যাশিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, নড়াইল আজ একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে । এজন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ।

আরও পড়ুন>>>মারিউপোলে সম্পূর্ণ বিজয় ঘোষণা করলো রাশিয়া

আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯ মে ২০১৯ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নড়াইল বাসীর জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় সমস্যা সমাধানে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ।
আজ সেই বহুল প্রত্যাশিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদন পেয়েছে । আমাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত অনুমোদনও অচিরেই পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ ।

আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই , যার চিন্তায়- পরিকল্পনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবায়িত হয়েছে , মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ।

ধন্যবাদ জানাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী , তরুণ জননেতা জুনায়েদ আহমেদ পলক ভাইকে । যাকে এই প্রকল্পের জন্য আমি অনেকবার বিরক্ত করেছি ।

ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সচিব , বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়াকে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে । এছাড়া এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই ।

আপনারা জানেন, ১ ম ধাপেই এটি পাস হওয়ার কথা ছিল । তবে জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সেসময় সেটি অনুমোদন পায়নি । সেজন্য আমরা উচ্চ আদালতেও গিয়েছি । জমি সংক্রান্ত জটিলতার নিরসনও হয়েছে । এক্ষেত্রে আমি ওই জমির বাদী পক্ষ যারা ছিলেন, নড়াইলের বৃহত্তর স্বার্থে সে সময় তাদের সহযোগিতা পেয়েছি । তাদের প্রতি আজ আবারো আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ।

চূড়ান্ত অনুমোদনের পর এখন খুব দ্রুত সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে । নড়াইলের আইটি ট্রেনিং সেন্টারসহ ২য় ধাপে মোট ১৪ টি আইটি ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদন পেয়েছে , যার সর্বমোট প্রকল্প ব্যয় ১১১৪.৬২৭৬ কোটি টাকা । নড়াইলের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের জন্য নির্ধারিত স্থান নড়াইল - লোহাগড়া সড়কের পাশে সীমাখালী মৌজার মালিবাগ মোড়ে ।

শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার বাস্তবায়িত হলে নড়াইল জেলার ন্যূনতম এসএসসি / সমমান পর্যায়ের ছাত্র - ছাত্রীদের আইটি / আইটিইএস এ দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হবে , তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে, স্টার্ট আপদের সহায়তা প্রদান করা হবে এবং আইটি / আইটিইএস সেক্টরে যুবসমাজের আত্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে । যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ( এসডিজি ) অর্জনের পাশাপাশি আর্থ - সামাজিক উন্নয়ন করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করবে ও আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলবে ।

করোনার কারণে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এখন আবার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে । আমি সবসময় বলে আসছি , নড়াইলে অপরিকল্পিত / বিচ্ছিন্ন উন্নয়ন না করে আমরা সেক্টরভিত্তিক টেকসই ও সামগ্রিক উন্নয়ন করতে পারলে নড়াইলের মানুষ হিসেবে আমরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবো । লোহাগড়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল , সদরে আইটি ট্রেনিং সেন্টার আর সমগ্র জেলার সড়ক উন্নয়নে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের ডিপিপি বাস্তবায়িত হলে নড়াইল জেলার চেহারা বদলে যাবে ইনশাআল্লাহ ।

আমাদের এলাকায়ই তখন ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে , যোগ্যতা অনুসারে কাজ পাবে তরুণরা- বেকারত্ব দূরীভূত হবে , ঘরে বসে তারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আয় করতে পারবে , এলাকায় শিল্পায়ন হবে, নড়াইলে দেশী - বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টে সকলখাতেই তখন কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত হবে ।
নড়াইল পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার
করোনার কারণে লক্ষ্য অর্জনে কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ায় ভিতরে ভিতরে আমি নিজেও কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। কারণ, আমি ক্রিকেটাঙ্গন থেকে রাজনীতিতে এসেছি আমাদের নড়াইলের উন্নয়ন করার জন্য । সেই উন্নয়ন কাজ যখন থমকে থাকে তখন আমারও খারাপ লাগে । যাই হোক, আলহামদুলিল্লাহ । মহান আল্লাহ আমাদের ডাক শুনেছেন । কাজগুলো এখন শুরু হতে যাচ্ছে জেনে ভালো লাগছে ।
নড়াইল পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার
তিনি আরোও লিখেন যে, উন্নয়ন কাজ রাতারাতি করা সম্ভব নয় । সরকারি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ধাপে ধাপে এগাতে হয় । নড়াইলের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি । যার সুফল হয়তো আমরা এখনি পাবো না , তবে একটু অপেক্ষার পর এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে আমরা সকলে তার সুফল পাবো ইনশাআল্লাহ । আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও দোয়া প্রত্যাশী ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram