২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

ঝালকাঠির রাজাপুরে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
নভেম্বর ১, ২০২২
18
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা
| ছবি : নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পিছন দিয়ে উত্তর-পূর্ব কোন পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে এ ঘটনা ঘটে।

অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারির মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলা শহর (নন মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্লান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৮৪ লক্ষ ৩ হাজার ৪৬৪ টাকা ব্যয়ে ৫২০ মিটার রাস্তা নির্মাণে দায়িত্ব দেয়া হয় সিরাজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

আরও পড়ুন>>>নড়াইলের কালিয়ায় জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে র‌্যালী

ঐ রাস্তা ব্যবহারে সুবিধাভোগী স্থানীয়রা জানায়, সিরাজ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে হয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পিছন দিয়ে উত্তর-পূর্ব কোন অংশে রাস্তাটুকু না করতে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।

পরে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে রাস্তা করতে বাধ্য হলেও চুক্তি অনুযাই রাস্তার কাজ হচ্ছে না। এমনকি রাস্তা নির্মাণ কাজের নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে ঠিকাদার। রাস্তার বেড কাটার পরে নাম মাত্র বালু ও খোয়া ব্যবহার করে সাববেইজ নির্মাণ করা হয়েছে। অধিক লাভের জন্য ঠিকাদার এমন কাজ করছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

রাস্তাটি থেকে চলাচলকারী কাজী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, রাস্তাটি উপজেলা পরিষদ বাউন্ডারির ভিতরে হলেও আমাদের প্রায় শাতাধিক পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি। রাস্তাটি মাটির হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে আমাদের চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। এসময় প্রায়ই পানি উঠে যায় রাস্তাটিতে। তাই আমাদের কষ্ট লাগবে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া হায়দার খান লিটন এই প্রকল্পটি পাস করায়। কিন্তু ঠিকাদার কাজ পাওয়ার পরে মাটির রাস্তায় খরচ ও কষ্ট বেশি দেখে কাজ করতে অনিহাপ্রকাশ করে।

পরে কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বেশি লাভের আশায় স্টিমিটে নাথাকা কিছুদিন আগের সিসি ঢালাই ওপর আরসিসি ঢালাই দিয়ে ঠিকাদার স্টিমিটে বরাদ্দ হওয়া মাপ ঠিক রাখেন। এ ব্যপারে ঠিকাদার মো. সিরাজ বলেন, উপজেলা পরিষদের মধ্যের কাজ, এখানে কাজে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা
উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার বলেন, রাস্তা যতটুকু চওরা ধরা আছে ততখানি করা যাবেনা। স্থানীয় মানুষ কোথায় কি কাজ কিভাবে করতে হবে তা বোঝো না। যার বাড়িতে ইট নেই তারা ইট নিয়ে অভিযোগ করে। যারা জীবনে পাপস দেখে নাই তারা পাপস নিয়ে অভিযোগ করে। এসব কথা কানে তোলা যাবেনা। ঠিকাদার যতটুকু কাজ করবে ততটুকুর বিল পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram