২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

নড়াইলে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
ডিসেম্বর ২, ২০২১
18
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
নড়াইলে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প
ছবি- প্রতিনিধি | ছবি : নড়াইলে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প

নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে আগে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যেত, যেগুলি এখন নাম শোনা গেলেও দেখা পাওয়া দুস্কর। অথচ এই ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলি বছরের পর বছর ধরে বাংলার সংস্কৃতির এক একটি উপাদান৷ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক৷ নড়াইলে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে বাঁশের

যেগুলি গ্রাম বাংলার গৃহস্থের সচ্ছলতা ও সুখসমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে প্রচলিত ছিল৷ দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে এইসব হস্তশিল্প৷ আগের মতন তেমন একটা চোখে পড়ে না এসব পন্য৷ এক সময় আমাদের নড়াইল জেলায় বাঁশের তৈরি এই জিনিসের অনেক প্রচলন ছিল৷ তখন প্রতি বাড়িতেই গেলে কিছু না কিছু হস্তশিল্প নজরে আসতো৷

কিন্তু বর্তমানে তা নেই বললেই চলে৷ বর্তমানে কিছু পরিবার এসব হস্তশিল্পের কাজ ধরে রেখেছে৷ আমরা চাইলেই পারি এই হস্তশিল্প ধরে রাখতে তাদের পন্য ব্যবহার করে। সাধারণত গ্রামের লোকেরা এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত এবং বেশির ভাগ তারাই এসব ব্যবহার করে। কুলা, মাথলা, ঝুড়ি, ওড়া, মাচা, মই, মাদুর, ঝুড়ি, ফাঁদ, হস্তশিল্প ইত্যাদি ছাড়াও মৃতদেহ সৎকার ও দাফনের কাজেও বাঁশ ব্যবহূত হয়। নড়াইলে বিলীনের দ্বারপ্রান্তে বাঁশের

আরও পড়ুন>>>আমরা মাঠে নামলে হুমকিদাতারা কোথায় পালাবে: তথ্যমন্ত্রী

বাঁশকে দরিদ্র মানুষের দারুও বলা হয়। নিত্য ব্যবহার্য এই বাঁশ কালক্রমে লোকসংস্কৃতি ও কারুশিল্পের প্রধান উপকরণ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে প্রায় ২৬ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়।তারমধ্যে মুলিবাঁশ, তল্লাবাঁশ ও বইরা বাঁশ দিয়ে শিল্পকর্ম করা সহজ। বাঁশের তৈরি এই শিল্প দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ছাড়াও আদিবাসীদের জীবনাচরণ প্রতীক।

আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে বাঁশের তৈরি শিল্পকর্ম দীর্ঘস্থায়ী না হলেও লোকজীবনে ব্যবহারের বহুমাত্রিকতা ও প্রয়োজনের কারণে এই শিল্পকর্ম বংশপরম্পরায় চলে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যানা যায় তাদের পূর্ব পুরুষরাও নাকি এ কাজের সাথে জড়িত ছিল৷ তাদের কাছ থেকেই তারা কাজ শিখেছে৷ তারা জানান নড়াইলে বর্তমানে প্লাষ্টিক পন্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি৷ কারণ তা তুলনামূলক দাম কম ও আর্কষনীয়৷ যে কারনে তাদের তৈরি পন্য বাজারজাত হয় কম৷ অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে৷ বর্তমানে এ পেশায় কাজ করা তাদের জন্য দায় হয়ে দাড়িয়েছে৷ যারা অন্য কোন কাজ পারেনা তারা এ কাজ ছাড়া৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram