৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

পরোটা ভাজা হচ্ছে স্যালাইন পদ্ধতিতে তেল দিয়ে

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
মার্চ ১০, ২০২২
14
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
পরোটা ভাজা হচ্ছে স্যালাইন পদ্ধতিতে তেল দিয়ে
ছবি- সংগৃহীত | ছবি : পরোটা ভাজা হচ্ছে স্যালাইন পদ্ধতিতে তেল দিয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত কয়েক দিন ধরে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিজের ছোট হোটেল ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর বড় মসজিদ এলাকার আব্দুল হামিদ। ভোজ্য তেলের দাম লাগামহীন বাড়ায় বাধ্য হয়ে পরোটাসহ অন্যান্য খাদ্যের দাম বাড়াতে হবে। কিন্তু হোটেলে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিলে ক্রেতাও কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। মন্দা পরিস্থিতি হলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে তাকে।

এ অবস্থায় তেল সাশ্রয়ের ভাবনা থেকে স্যালাইন পদ্ধতিতে পরোটা ভাজার সিদ্ধান্ত নেন আব্দুল হামিদ। এমন কৌশলে তিনি নিজেও সাশ্রয়ী হচ্ছেন এবং পরোটার দাম বৃদ্ধি না করে ক্রেতা ধরে রেখে নিজের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছেন এই ব্যাবসায়ী। এমন অভিনব পদ্ধতি দেখতে ও সেইসঙ্গে পরোটা খেতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন তার হোটেলে।

আব্দুল হামিদ জানান, এমন কৌশলে নিজে লাভবান হচ্ছেন এবং ক্রেতাও ধরে রেখেছেন তিনি। আগে প্রতিদিন ২৫০টি পরোটা ভাজতে প্রায় আড়াই লিটার তেল লাগতো। আর এখন স্যালাইন পদ্ধতিতে দেড় লিটার তেলে ২৫০টি পরোটা ভাজতে পারছেন তিনি। এতে বাজারে তেলে দাম বাড়লেও তার হোটেলে তেমন প্রভাব পড়েনি। পরোটাসহ অন্যান্য খাবারের দামও বৃদ্ধি করতে হয়নি তাকে।

আরও পড়ুন>>>ইউক্রেন চব্বিশ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চায়

এদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। হোটেলগুলোতে প্রতিটি পরোটা ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে কোথাও ৮ টাকা আবার কোথাও ১০টাকা করা হয়েছে। অনেক খাবার হোটেলে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি করা হলেও আগের ৫ টাকা দরেই প্রতি পিস পরোটা বিক্রি করছেন আব্দুল হামিদ। তেল সাশ্রয় করে স্যালাইন পদ্ধতি দেখতে অনেকেই আসছেন তার হোটেলে।

মথুরাপুর এলাকার সোলায়মান আলি নামে এক ক্রেতা বলেন, সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় আশেপাশের বেশ কয়েকটি হোটেলে পরোটাসহ অন্যান্য খাবারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আব্দুল হামিদের হোটেলে এখনো আগের দরেই খাবার পাওয়া যাচ্ছে। রোড সুগার মিল এলাকার বাসিন্দা মনসুর আলম জানান, লোকমুখে আব্দুল হামিদের স্যালাইন পদ্ধতিতে পরোটা ভাজার কথা শুনে তিনিসহ তার দুজন বন্ধু মিলে তা দেখতে এবং পরোটা খেতে এসেছেন।

জেলা তেল গ্যাস কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব আলম রুবেল বলেন, খেটে খাওয়া শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। কিন্তু ভোজ্য তেলসহ যেভাবে অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষকে খুব কষ্টে পড়তে হবে। তাই তেলের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারকে তেল আমদানি বাড়াতে হবে, সেইসঙ্গে বাজার মনিটরিং করে আরও কঠোর হতে হবে। তা না হলে বিপাকে পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।

পৌরসভা চৌরাস্তা এলাকার ছোট মুদি ব্যবসায়ী সাহাদাত হোসেন জানান, চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছেন না তারা। অনেক কোম্পানি তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। আর যে দু’একটি কোম্পানি তেল সরবরাহ করছেন তার পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ৫ লিটার বোতল তেল কিনতে হচ্ছে ৭৯০ টাকায় এবং বিক্রি করতে হচ্ছে ৭৯৫ টাকায়। প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁওয়ে বর্তমানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা এবং ৫ লিটার বোতল তেল ৭৯৫ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram