প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
ডেস্ক রিপোর্টঃ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের ছেলের বিরুদ্ধে শিশু সংক্রান্ত মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতিসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ সময় পর্যন্ত শিশু সন্তানকে ৩ দিন মায়ের কাছে ও ৪ দিন বাবার কাছে রাখার হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়েছে।
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পাঁচ বছরের কন্যা শিশুকে নিজের জিম্মায় চেয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
আদালতে মায়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আহসানুল করিম, আর বাবার পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী দৈনিক বাংলাকে বলেন, মায়ের করা আবেদনটি আজকে আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে শিশুটি তিন দিন মায়ের কাছে আর চার দিন বাবার কাছে থাকবে হাইকোর্টের এ আদেশ বহাল থাকলো। একই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।’
আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘আমাদের আবেদনটি আজকে ডিসমিস করে দিয়েছেন। এর ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকলো। হাইকোর্ট যেহেতু ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন তার মধ্যে বেশ কয়েক মাস পার হয়ে গেছে। বাকী আর আড়াই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।’
আরও পড়ুন>>>শিখতে হবে বন্যার সঙ্গে বসবাস: প্রধানমন্ত্রী
পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানকে দেশের বাইরে না নিতে বাবা মুসফেক আলমের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং মায়ের জিম্মায় চেয়ে গত বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করেন শিশুটির মা তাসনোভা ইকবাল। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেয়।
রায়ে হাইকোর্ট বাবার কাছে চার দিন এবং মায়ের কাছে তিন দিন থাকবে এমন রায় দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মা। মায়ের সেই আবেদন আজকে খারিজ করে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেয়।
মামলা থেকে জানা যায়, আবেদনকারী রাজধানী গুলশানের বাসিন্দা ইকবাল কামাল ও নাজমা সুলতানার মেয়ে তাসনুভা ইকবাল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষিকা।
২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের ছেলে মুশফেক আলম সৈকতকে বিয়ে করেন।
২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তাসুনভা আদালতেরও দ্বারস্থ হন।
পরে গত বছরের ৩ জানুয়ারি সৈকত তাসনুভাতে ডিভোর্স নেটিশ দেন। এ অবস্থায় বাবার কাছে থাকা মেয়েকে দেখতে চেয়ে নিম্ন আদালতে মামলা করেন তাসনুভা।