বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মসজিদকুঁড় মসজিদ
শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধিঃ মসজিদকুঁড় মসজিদ, বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দর্শনীয় স্থান। মসজিদকুঁড় মসজিদ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নে অবস্থিত।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মসজিদকুঁড় মসজিদ
মসজিদটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ ও এর খুব কাছেই রয়েছে সুন্দরবন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পূর্বে এ অঞ্চলটি বন ও বিভিন্ন গাছ-পালায় ভরপুর ছিলো। পরবর্তীতে খননকার্য সম্পাদনা করে মাটির নিচের এই মসজিদটি আবিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন>>>আফগানিস্তানের ২৯টি প্রদেশের ১১৬ জেলা তালেবানের দখলে
মসজিদটি আবিষ্কারের সময় সেখানে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি বলে এর নির্মাণ-এর সময় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না।
মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় বলে একে মসজিদকুঁড় নামে নামকরণ করা হয়েছিল। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ মনে করেন, এ মসজিদটি খুব সম্ভবত খান জাহানের শাসনামলে তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন>>>গ্রাহক হয়রানি বন্ধে ফেসবুক হ্যাকারদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি
মসজিদকূঁড় মসজিদটির প্রতিটি দেয়াল প্রায় ৭ ফুট প্রশস্ত। এছাড়াও এটি বর্গাকারে নির্মাণ করা হয়েছিল যার বাইরে ও ভেতরের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫৪ ও ৩৯ ফুট। মসজিদটির সামনে রয়েছে ৩টি দরজা ও অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি ৪টি স্তম্ভ রয়েছে। দেয়াল ও স্তম্ভ মিলিয়ে ৩টি সারিতে ৩টি করে মোট ৯টি গম্বুজ রয়েছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন মসজিদকুঁড় মসজিদ
খানজাহান আলীর শিষ্য বুড়া খান ও ফতেহ খান এই গ্রামে কাছারি করে এলাকা শাসন করতেন ১৪৫০-১৪৯০ সালের সময়কালে। তাঁরা এখানে একটি নয় গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন, নাম রাখেন মসজিদকুড়। ইট-সুরকির তৈরি মসজিদটি দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন একটি প্রত্নসম্পদ।