১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

জামিন বহাল রেখেছে ফখরুল-আব্বাসের

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ৮, ২০২৩
11
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সংগৃহীত | ছবি : 

ডেস্ক রপোর্ট: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাই কোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (০৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে হাই কোর্টে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।

এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সগীর হোসেন লিয়ন।

এর আগে, গত ০৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন।

পরদিন (০৪ জানুয়ারি) জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর ০৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকায় গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে গত ০৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে। সেদিন মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করলেও পরদিন রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। একই রাতে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকেও। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিতে চাইলেও রিমান্ড নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ১৫ ও সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এরপরই উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram