ফসলি জমি নষ্ট করে কল-কারখানা গড়ে তুললে গ্যাস-বিদ্যুৎ পাবে না:প্রধানমন্ত্রী
ডেক্স রিপোর্টঃ দেশের ফসলি জমি নষ্ট করে অপরিকল্পিতভাবে কল-কারখানা গড়ে তুললে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পল্লী জনপদ, রংপুর এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড), কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের কথা যদি বলি তাহলে অবশ্যই আমাকে তৃণমূলে যেতে হবে। তাছাড়া আমাকে চাষের জমি রক্ষা করতে হবে। সে জন্য সারা বাংলাদেশে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। যত্রতত্র কেউ শিল্প গড়ে তুলতে পারবে না। জাতির পিতা করেছিলেন বিসিক শিল্প নগরী। তার এ ধারণা থেকেই আমরা আরও বড় আকারে এ পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের দেশে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প সবচেয়ে বেশি কার্যকর, এটা দারিদ্র্য বিমোচনেও সব থেকে বেশি কার্যকর।
আরও পড়ুন>>>সাতক্ষীরার কলারোয়া বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে দুই পদে এক কর্মচারী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা বড় শিল্প হলে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রয়োজন হয়। এটার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী স্তরে আমরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলছি। ফসলের জমি নষ্ট করে কেউ কল-কারখানা করতে পারবে না। করলে আমরা বিদ্যুৎ-গ্যাস কোনো কিছুই দেবো না। পরিষ্কার কথা আমাদের। কাজে এটা কেউ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমি চেষ্টা করছি একেবারে পল্লী অঞ্চলে তৃণমূলে পড়ে থাকা মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করার। উন্নয়নের যত কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি, সব গ্রামের মানুষকে লক্ষ করেই নিয়েছি। যেন আমাদের উন্নয়নটা গ্রাম থেকে উঠে আসে।
গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া এ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ তো সব সময় অবহেলিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ অঞ্চলের মানুষকে যাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, সেজন্য দারিদ্র্য বিমোচন কমপ্লেক্স আমরা প্রথমে কোটালিপাড়ায় গড়ে তুলি, সেটাই পর্যায়ক্রমিকভাবে আজকে একাডেমিতে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নেওয়া পদক্ষেপ ধীরে ধীরে মানুষের জীবন-মান উন্নত করছে। ৯৬ সালে যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলাম, তার অনেক কাজ ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বন্ধ করে দিয়েছিল। তৃতীয়-চতুর্থবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই সময় পেয়েছি হাতে। যে কারণে আমাদের উন্নয়নগুলো আজকে দৃশ্যমান হচ্ছে, মানুষ তার সুফলটা পাচ্ছে।