ফাঁসিতে ঝুলে জীবন দিলেন তরুণীসহ বৃদ্ধা
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ফাঁসিতে ঝুঁলে এক নারীসহ দুইজনের আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরশিহারী গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে লিজা আক্তার (১৯) ও মাইজবাগ ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে আব্দুর রাশিদ (৭০)। রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নিহতদের নিজ বাড়ি থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, সম্প্রতি লিজা তার স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঘটনার দিন দুপুরের লিজা তার স্বামী নয়ন মিয়াকে নিয়ে শশুর বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় নয়ন তার স্ত্রী লিজাকে ঘর থেকে সাবান আনার কথা বলে। ফাঁসিতে ঝুলে জীবন দিলেন
আরও পড়ুন>>>দেশে প্রথম ইউপি চেয়ারম্যান হলেন তৃতীয় লিঙ্গের ঋতু
তবে, লিজা সাবান আনতে ঘরে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এমতাবস্থায় নয়ন তার স্ত্রীকে খোঁজতে গিয়ে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেরে ডাক চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে দেখে থানায় খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এদিকে, মাইজবাগ ইউনিয়নের কুল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ সকালের দিকে নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরের আড়ার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। ফাঁসিতে ঝুলে জীবন দিলেন
পরে পরিবারের লোকজন তাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজাখুজি শুরু করে। এসময় পরিবারের লোকজন বাড়ির সাথে গোয়াল ঘরে তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করে।
বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সবাই এসে তার ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করে। ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু হয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে আসে। তবে পরিবারের ধারণা অসুস্থতা বোধ করায় আত্মহত্যা করেছে।