ফিলিপাইনে সেনাবাহিনীর বিমান বিধ্বস্তে ৪৫ জন নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ফিলিপাইনে সেনাবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৫০ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>>করোনা ঊর্দ্বগতি রোধে লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ
রোববার (৪জুলাই) সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বিমান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৯৬ জন আরোহী ছিল। যাদের বেশিরভাগই সদ্য আর্মি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। দেশটির সেনাবাহিনীর গত ৩০ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। খবর রয়টার্সের।
আরও পড়ুন>>>উপহার স্বরূপ ভারত পেল বাংলার হাড়ি ভাঙা আম
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের সুলু প্রদেশের পাতিকুলে সেনাবাহিনী হারকিউলিস সি-১৩০ মডেলের বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে হারিয়ে ফেলে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলে যায় রানওয়ের বাইরে। পরে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। দুর্ঘটনার পর বিমানটির ধ্বংসস্তূপ থেকে আগুন ও ধোঁয়া নির্গত হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন>>>সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ঘরে থাকতে হবে-জেলা প্রশাসক
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কিরিলিতো সোবেজানা জানান, বিমানটি সুলু প্রদেশের জোলো দ্বীপের একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। তবে দুর্ঘটনার আগে বিমানটি রানওয়ে মিস করার পর আবারো নিয়ন্ত্রণে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু রক্ষা পায় পায়নি।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। বিমানে থাকা বেশিরভাগ আরোহী সম্প্রতি সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের একটি যৌথ টাস্ক ফোর্সে কাজ করার জন্য ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। অবতরণের সময় বিমানটি রানওয়ে খুঁজে পাচ্ছিল না। পরবর্তীতে অবতরণের চেষ্টা করতে থাকে এবং এটি বিধ্বস্ত হয়।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেলফিন লরেনজানা এক বিবৃতিতে জানান, বিমানটিতে ৯৬ জন আরোহী ছিলেন। এখন পর্যন্ত জখম ও আহত অবস্থায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে ৪৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
এর আগে ১৯৯৩ সালে ফিলিপাইন এয়ার ফোর্সের একটি বিমান দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছিল। এছাড়া ২০০৮ সালের অন্য একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি হয়। ফিলিপাইনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ছিল ২০০০ সালে। তখন নিহত হয়েছিল ১৩১ জন আরোহী।
সূত্র: রয়টার্স