বিএসএফের গুলিতে বাঁচলোনা চুয়াডাঙ্গার যুবক
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের অনেক সীমান্তেই আবারও অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এতে সচেতনতার অভাবে কেউ সাবধানও হচ্ছেনা। ফলে বিএসএফ এর গুলিতে কেউ আহত হচ্ছে আবার কেউ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাও যাচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে মুনতাজ হোসেন (৩২) নামে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন।
রোববার (০৯ অক্টোবর) আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ছোট বলদিয়া সীমান্তের ৮২ নম্বর মেইন পিলারের কাছে গুলিবিদ্ধ হন তিঁনি।
নিহত মুনতাজ হোসেন ওই উপজেলার ছোট বলদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।
এ বিষয়ে নিহতের মেজো ভাই পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম জাকারিয়া আলম বলেন, রাত ১টার দিকে সীমান্তে মহিষ আনতে যান মুনতাজ। সীমান্তের ৮২ নম্বর মেইন পিলারের অপর পাশ থেকে ৫৪ বিএসএফ বিজয়পুর ক্যাম্পের সদস্যরা ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেন । সেসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মুনতাজ। পরে তাঁর মরদেহ ভারতে নিয়ে যান বিএসএফরা।
এ বিষয়ে ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বাবিন মুখার্জি জানান, নিহত বাংলাদেশি যুবক অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশে মহিষ নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক জানান, ‘ঘটনাটি শোনার পর আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে লাশ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, একইদিন ভোর ৪টার দিকে সাতক্ষীরার কুশখালীর খৈতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসানুর রহমান (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। হাসানুর উপজেলার কুশখালী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
হায়দার আলী জানান, তার ছেলের পাসপোর্ট নেই। কয়েক দিন আগে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রোববার ভোরে কয়েকজনের সঙ্গে সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরছিলেন। পথে কৈজুরী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে হাসানুর বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। হাসানুরের সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে ভোর সোয়া ৬টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।