১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

ঝালকাঠির শ্রীমন্তকাঠি স. প্রা. বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিচ্ছিন্ন

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
এপ্রিল ১৯, ২০২২
16
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিচ্ছিন্ন
ঝালকাঠি সদর উপজেলার শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার | ছবি : বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বিচ্ছিন্ন

এ রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় দোকানের পার্শ্ব সংযোগ (সাইড কানেকশন) দিয়ে মাস খানেক ঘুরে স্কুলের বৈদ্যুতিক পাখা (ফ্যান)। একদিন /দুদিনের এমন কোন ঘটনা না, দীর্ঘ দেড় মাস ধরেই চলছে এভাবে বৈদ্যুতিক ব্যবহার। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় পার্শ সংযোগ প্রদানকারী ব্যবসায়ী অরুন বড়াল সকালে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীদের অসহ্য কষ্ট।

শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে স্বাভাবিক পাঠদান গ্রহণ করতে না পারায় বিদ্যালয়ের বাহিরে ঘোরাফেরা ও খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছে। তীব্র গরমে অতিষ্ট হয়ে শিক্ষরাও বসে বসে হাতপাখা দিয়ে বাতাস নিচ্ছেন।

গতমাসের ১২শ টাকা বিদ্যুত বিল আসায় প্রধান শিক্ষকের কাছে চাইলে তিনি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ঝালকাঠি সদর উপজেলার শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।

আরও পড়ুন>>>লক্ষ্মীপুরে ক্রোকারিজ গোডাউনে আগুন

স্কুল পরিদর্শন এবং ওই এলাকার মানুষদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার ২২টি পুরাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নিলাম দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার অথবা নতুন ভবনে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে।

শ্রীমন্তকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনে বৈদ্যুতিক মিটার রেখেই সেখান থেকে সংযোগ নিয়ে নতুন ভবনে ব্যবহার করতো। নিলাম ক্রেতা পুরাতন ভবন ভেঙে নিলে ৭মার্চ মিটারটি একটি খুটির সাথে রাখে। সেটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ১১দিন সেখানের একটি বাঁশের খুটিতে ঝুলন্ত থাকে।

বিষয়টি প্রধান শিক্ষক বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের কাছে পুনস্থাপনের জন্য অবহিত করেন। একটি স্কুল মাঠ অন্যদিকে বাজার সংলগ্ন স্থানে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় বিষয়টি স্থানীয় একটি মহল বিদ্যুত বিভাগের লোকজনকে খবর দেয়। তারা এসে ২০ তারিখে মিটারটি নিয়ে যায়। পরদিন বিদ্যালয়ে বিদ্যুত সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় অসহ্য কষ্ট ভোগ করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

তাৎক্ষণিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা চালু করতে বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে পার্শ্ব সংযোগ ব্যবহার করেন। পরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্পনা রানি ইন্দু ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে ৩৪৫ টাকা জমা দিয়ে মিটার পেতে আবেদন করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্পনা রানি ইন্দু জানান, মিটারটি খুলে রাখার পরে বিদ্যুত অফিসের লোকজন এসে খুলে নেয়। মিটার বসিয়ে পুন সংযোগের চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই সমাধান হবে। পার্শ্ব সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিক মিটার থেকে বিল আসলে তা নিয়মানুযায়ী পরিশোধ করলে সরকারী বরাদ্ধ থেকে তা ব্যালেন্স করা হয়। এখন পার্শ্ব সংযোগের ক্ষেত্রে এতো টাকা বিল আসলে আমি এই টাকা কোথায় পাবো আর কোথা থেকে বিল দিবো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram