১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

বাগেরহাটের রামপালে বেতন পায়নি প্রাথমিকের ৬ শতাধিক শিক্ষক

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জুলাই ১৪, ২০২২
16
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
বেতন পায়নি ৬ শতাধিক শিক্ষক
প্রতিকি ছবি | ছবি : বেতন পায়নি ৬ শতাধিক শিক্ষক

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বরাদ্দ নেই এমন দোহাই দিয়ে বেতন ছাড় না করায় রামপালে প্রাথমিকের ৬ শতাধিক শিক্ষক ঈদ উল আজাহার আন্দদ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এমন হটকারি সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা।

জানা গেছে বাগেরহাটের রামপাল উপজলায় ১২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ৬ শতাধিক শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। শিক্ষকদের অভিযোগ গত জুন /২২ মাসের বেতন তারা তুলতে পারনেনি। ব্যাংকে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। বেশির ভাগ শিক্ষক বেতন না পেয়ে ঈদের আনন্দ থেকে বেশ খানিকটা বঞ্চিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন>>>নড়াইলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নাম প্রকাশ না করে ৮/৯ জন শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে বলেন জুন মাসের বেতন না পেয়ে অনেক শিক্ষক কোরবানি করতে পারেননি। অনেকে ধার করে কোরবানি করেছেন। বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজলার শিক্ষকরা বেতন না পেলেও অন্যান্য উপজলার শিক্ষকরা সময় মতো জুনের বেতন পেয়েছেন বলে তারা জানান।

শিক্ষকদের কথার সুত্র ধরে পার্শ্ববর্তী মোংলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. নুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা সময় মতো জুনের বেতন পেয়েছি।

শিক্ষকদের অভিযাগ বেতনের জন্য উপজলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযাগ করা হলে তাদের বলা হয় জুনের বেতনের বরাদ্দ আসেনি। একটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন সম্প্রতি পেড়িখালি এলাকায় একটি বিদ্যালয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা একটি মিটিং করার সময় বেতন না পাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে উপজলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বেতন ছাড় করার নির্দেশ দিলেও তিনি তাদের কথা রাখনেনি বলে ওই শিক্ষক অভিযাগ করেন।

তিনি আরও অভিযাগ করে বলেন কোরবানির ঈদের আগে শিক্ষকরা শিক্ষা অফিসে বেতনের জন্য বার বার ধর্ণা দিয়েও বেতন পাননি। এ কারণে এবার অনেক শিক্ষক কোরবানি করতে পারেননি। শিক্ষকরা বেতন না পাওয়ার জন্য উপজলা শিক্ষা অফিসার মতিয়ার রহমানক দায়ী করেন।
বেতন পায়নি ৬ শতাধিক শিক্ষক
এ বিষয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একজন সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন আমি যতদুর জানি কিছু শিক্ষকের ১৩ তম গ্রেড পাওয়ায় অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে। এজন্যে কিছু টাকা ঘাটতি ছিল। তবে মুসলমান শিক্ষকদের ঈদের সময় বেতন দেয়া যেতো বলে তিনি মন্তব্য করেন। টিইও স্যার কেন দেননি তিনি সেটা ভালো বলতে পারবেন। তবে তিনি সর্বশেষ জানান বরাদ্দ এসেছে এখন শিক্ষকদের জুনের বেতন ব্যাংকে পাঠানো হবে। তারা আগামী সপ্তাহে বেতন হাতে পাবেন।
বেতন পায়নি ৬ শতাধিক শিক্ষক
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান বরাদ্দ ছিলনা তাই বেতন দেয়া যায়নি। এখন বরাদ্দ আসছে অনলাইনে। এসময় অন্য উপজলার শিক্ষকরা বেতন পেলেও কেন রামপাল উপজেলার শিক্ষকরা বেতন পাননি সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের বরাদ্দ ছিল তাই তারা দিতে পেরেছেন। বরাদ্দ এসে গেছে। এখন বেতন দিয়ে দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram