২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

যশোর বড়বাজার থেকে কাঁচা বাজার স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জুলাই ৩, ২০২১
11
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
বড়বাজার থেকে কাঁচা বাজার সরানোর নির্দেশ
ফাইল ছবি | ছবি : বড়বাজার থেকে কাঁচা বাজার সরানোর নির্দেশ

ডেক্স রিপোর্টঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসেনর পক্ষথেকে যশোর বড়বাজার থেকে কাঁচা বাজার সরিয়ে ঈদগাহ মাঠে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (৩ জুলাই) থেকেই যশোর কাঁচা বাজারের নতুন ঠিকানা হচ্ছে ঈদগাহ ময়দান। কিন্তু শনিবার ঈদগাঁ ময়দানে ব্যবসায়ীরা কোন ব্যবসা সেখানে করেনি। তারা সেখানে যেতে নারাজ।

আরও পড়ুন>>>কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে ১৫ হাজার পেঁপে গাছ রোপন

এক পর্যায় শুক্রবার রাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার পর তারা ঈদগাতে যেতে রাজি হন । তবে, সময় বাড়িয়ে দেয়া সহ নানা ধরণের দাবি দাবী উপস্থাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আগে তারা খোলা স্থানে যেয়ে ব্যবসা চালু করবে তারপরই তাদের দাবী দাবার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারাদেশের সাথে যশোরেও চলছে এক সপ্তাহের লকডাউন। তারপরেও নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছেনা করোনার গ্রাস। বিশেষ করে যশোর বড় বাজারের কাঁচাবাজারে এখনো গাদাগাদি করে বেচা কেনা করতে দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। পাশাপাশি ক্রেতা ও বিক্রেতাকে মাস্ক ছাড়াই বেচা কেনা করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন হয়ে ব্যবসা করছেন আবার ক্রেতারা বাজার আসছেন মাস্ক ছাড়ায়।

আরও পড়ুন>>>দীর্ঘ ১৫ বছরের সংসার ভেঙে গেল আমির খানের

এসব বিষয় বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে গত বৃহস্পতিবার যশোর বড়বাজার থেকে কাঁচা বাজার সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয় । এরপরই গড়িমসি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের কঠোর হুসিয়ারী আসে। শনিবার থেকে তাদের আর বড়বাজারের কাঁচাবাজারে দোকানদারি না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। শেষ মেষ ব্যবসায়ীরা শনিবার থেকে ঈদগাহ মাঠে দোকাদারি করতে রাজি হন। কিন্তু শনিবার ও তারা সেখানে ব্যবসার জন্য বসেননি।

এসব বিষয়ে কথা হয় যশোর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী নেতা সুশান্ত সাহা, শংকর সাহা, আরিফুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, জামাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মনির হোসেন সহ আরো কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই ঈদগাহ মাঠে যেতে চাচ্ছেন না। গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে তারা বলেন, সেখানে ছাউনী না থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে বেচাকেনা করতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই হাটু কাঁদাতে পরিণত হয়। সেখানে নেই পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা।

তারা আরো বলেন, আড়ৎ থেকে পণ্য কিনে ঈদগাহে যেতে যেতেই ৯টা ১০ টা বেজে যায়। বাকি থাকবে ২ ঘন্টা। সামান্য সময়ে তাদের বেচাকেনা হবে না বলে তারা দাবি করেন। সেক্ষেত্রে সময় বাড়ানোর দাবি জানান তারা। এছাড়া তারা বলেন, মাছ বাজার যেখানে বড়বাজার এলাকায় থেকে যাচ্ছে সেখানে কাঁচা বাজার ঈদগাহে চলে গেলে তাদের ব্যবসায় ভাটা পড়বে। প্রয়োজনে আগের মতই মাছবাজার টাউন হলে আনার সুপারিশ করেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, নির্দেশনা রয়েছে খোলা স্থানে বাজার স্থানান্তর করতে হবে। তার পরেও ব্যবসায়ীদের সমস্যার বিষয়টি চিন্তা করে এতদিন তারা বিভিন্ন ভাবে কাচাঁবাজার বড় বাজারে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও ভিড় সামলানো যাচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি দাবার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, তারা ঈদগাহে যেয়ে ব্যবসা শুরু করার পর তাদের দাবীদাবার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গতবছরও করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাঁচা বাজার সরিয়ে ঈদগাহ ময়দানে স্থানন্তর করা হয়েছিলো। এছাড়া মাছ বাজার আনা হয়েছিলো টাউন হল মাঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram