১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া আলমগীর চাকরি পাচ্ছেন

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২
19
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া আলমগীর চাকরি পাচ্ছেন
ছবি- সংগৃহীত | ছবি : ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া আলমগীর চাকরি পাচ্ছেন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া সেই আলমগীরের চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বগুড়ার স্বপ্ন সুপার শপের আউটলেটে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আলমগীরের সাথে সাক্ষাতকার শেষে এ কথা জানান।

তবে তার যোগ্যতা অনুযায়ী পদ দিবে স্বপ্ন সুপার সপ। এর আগে বেলা ১২ টার দিকে আলমগীর কবির বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে আলমগীরের সঙ্গে আলাপ করেন এসপি। এ সময় তার কাছে থেকে বিস্তারিত কথাবার্তা শোনেন এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

তিনি জানান, আলমগীরের ওই বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করার জন্য তার সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। কথা বলে মনে হয়েছে তার চাকরি আসলেই প্রয়োজন। আবার এটাও ঠিক ওই ধরনের বিজ্ঞাপন দেয়া হীন মানসিকতার পরিচয়। সে কথা তাকে বলেছি।

এসপি আরও জানান, আমরা তাকে স্বপ্ন সুপার শপে চাকরির ব্যবস্থা করছি। তবে কোন পদে চাকরি হচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তার যোগ্যতা যাচাই করে পদ নির্ধারণ করা হবে।

আরও পড়ুন>>>শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি দুই সপ্তাহ বাড়ছে

চাকরি পাওয়ার বিষয়ে আলমগীর জানান, এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারছি না। আর্থিক অনটনের কারণে আলমগীর কবিরের তিনবেলা ঠিকমতো খাওয়া হচ্ছিল না। এই কারণে উপায় না দেখে সম্প্রতি তিনি আশ্রয় নেন ‘বিজ্ঞাপনের’।

দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’ দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো সেই বিজ্ঞাপনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। এর পর থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে আলমগীর কবির নিজেই বিব্রত অবস্থায় পড়েন।

তিনি জানান, ফেসবুকে ওই পোস্ট তিনি করেননি। কেউ একজন করেছেন। ৩২ বছর বয়সী আলমগীর কবির বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।

তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শরাইল গ্রামের মো. কফিল উদ্দিনের ছেলে। তবে আলমগীর বগুড়া শহরের জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে থাকেন।

বিজ্ঞাপনের ওই বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার জেলা পুলিশ তার খোঁজ করে। পুলিশ জানায়, মূলত তার মানবিক দিক বিবেচনায় আলমগীরের খোঁজ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram