ভারতে স্পিকারকে গালিগালাজ করায় বিজেপির ১২ বিধায়ক বরখাস্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ অসংসদীয় ভাষায় গালিগালাজ টানাহেঁচড়া সহ চরম বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্র বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন।
আরও পড়ুন>>>উজিরপুরে নারী আসামীকে যৌন নির্যাতেন ওসি ও তদন্ত ইন্সপেক্টর ক্লোজড
সোমবার (৫জুলাই) অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন স্পিকার ভাস্কর যাদবকে হেনস্তার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে।
এ বরখাস্তের মেয়াদ থাকবে এক বছর। যদিও নিজ দলের বিধায়কদের বিপক্ষে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।
আরও পড়ুন>>>ঝালকাঠির নলছিটিতে অবৈধ বালু উত্তোলনে ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড
অধিবেশনে ওবিসি বা অন্যান্য পশ্চাৎপদ শ্রেণি ইস্যুতে শুরুতে উত্তেজনা তৈরি করে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দল বিজেপি। যদিও তাদের অভিযোগ, কথা বলার জন্য তাদের পর্যান্ত সময় দিচ্ছেন না ভারপ্রাপ্ত স্পিকার ভাস্কর যাদব। এতে স্থগিত হয় অধিবেশন, পর উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন>>>যশোরে সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
স্পিকারের অভিযোগ, বিরোধী দলের নেতারা তার কেবিনে গিয়ে তাকে অসংসদীয় ভাষায় গালাগালি করে। এসময় চন্দ্রকান্ত পাতিলসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতাও উপস্থিত ছিলেন। কয়েকজন নেতা তাকে টানাহেঁচড়া করেন বলেও অভিযোগ করেন স্পিকার ভাস্কর যাদব।
স্পিকারের বিরুদ্ধেও বিধায়কদের হেনস্তা করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস বলেন, সব অভিযোগই মিথ্যা। গল্প বানাচ্ছে। বিজেপি-র কেউই তাঁকে হেনস্তা করেননি।
আরও পড়ুন>>>সাতক্ষীরায় লকডাউন সফল করতে পুলিশের মহড়া
পরে পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রীকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয় বিজেপির ১২ জন বিধায়ককে। বরখাস্ত হওয়া নেতারা হলেন, সঞ্জয় কুতে, আশিষ শেলার, অভিমন্যু পাওয়ার, গিরিশ মহাজন, অতুল ভাটকালকার, পরাগ আলাভনি, হারিশ পিম্পাল, রাম সাতপুতে, বিজয় কুমার রাওয়াল, যোগেশ সাগর, নারায়ণ কুচে, কিরতিকুমার বাংদিয়া।
সাবেক স্পিকার নানা পাতোল পদত্যাগ করায় ভাস্কর যাদব ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়ীত্ব পালন করছেন। কিন্তু বিজেপি চাচ্ছে নতুন নির্বাচন। একই সঙ্গে চাচ্ছে তাদের প্রার্থী স্পিকার হোক।
কিন্তু মহারাষ্ট্র সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে ক্ষমতাসীন বিকাশ আঘাদি। শিব সেনা, এনসিপি ২০১৯ সালে জোট সরকার গঠনের সময় ক্ষমতার বণ্টন হিসেবে স্পিকারের পদ দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসকে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা