মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন ২৫৯১ ডলারে
ডেস্ক রিপোর্টঃ মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার থেকে বেড়ে ২৫৯১ ডলার হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের ফিগার, যে কেউ এটা নিয়ে গবেষণা করতে পারেন। আমরা সামগ্রিকভাবে ভালো করেছি বলেই মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি বছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারসহ কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন ও প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যায়ে চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২০ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ৬.৯৪ ভাগ যা সাময়িক হিসাবে ছিল শতকরা ৫.৪৩ ভাগ। ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২১৯,৭৩৮ টাকা বা ২,৫৯১ মার্কিন ডলার যা সাময়িক হিসাবে ছিল ২১৬,৫৮৯ টাকা বা ২.৫৫৪ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন>>>বিএনপির সাহস নেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার: ওবায়দুল কাদের
২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির চূড়ান্ত হিসাবের উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, সার্বিক বিবেচনায় কৃষি খাতের ২০২০-২১ অর্থবছরে চূড়ান্ত হিসাবে শতকরা ৩.১৭ ভাগ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে যা সাময়িক হিসাবে ছিল ২:৩৭ ভাগ। চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে শস্য উপখাতে শতকরা ২.২৯ ভাগ, পশুপালন উপখাতে শতকরা ২.৯৪ ভাগ, বন উপখাতে শতকরা ৪.৯৪ ভাগ এবং মৎস্য খাতে শতকরা ৪.১১ ভাগ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।
শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ১১.৫৯% প্রাক্কলন করা হয়েছে। বছর শেষে বিদ্যুৎ খাতে ১১.৬৫% এবং নির্মাণ খাতে ৮.০৮% প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী শিল্প খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০.২৯ ভাগ যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫.৯৯ ভাগ।
সেবা খাতের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৭.৬৪%, যানবাহন খাতে ৪.০৪%, ব্যাংক ও বীমা খাতে ৫.৮২%, শিক্ষা খাতে ৫.৮১% ও স্বাস্থ্য খাতে ১০.৬০% প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী সেবা খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫.৭৩ ভাগ যা সাময়িক হিসাবে ছিল ৫.৮৬ ভাগ।