২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

মাশরাফিকে বরণ করার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন নড়াইল বাসী

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ৫, ২০২৪
25
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

নড়াইল প্রতিনিধি: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য হিসাবে বরণ করে নিতে প্রস্তুত নড়াইলবাসী। বিশেষ করে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে মুখিয়ে রয়েছেন তরুণ প্রজন্মের এই আইকনকে। অনেকেই অপেক্ষার প্রহর গুনছেন ভোটের দিনের জন্য। মাশরাফি বন্দনায় মুখরিত গোটা নড়াইল

মাশরাফি বিন মুর্তজার বিকল্প কাউকে ভাবছেন না বেশিরভাগ ভোটার। অবহেলিত নড়াইলের উন্নয়নে অনেক দৌঁড়ঝাপ করে কয়েকটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন করাতে সক্ষম হয়েছেন মাশরাফি। যে কারণে ভোটের সমীকরণে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় হেভিওয়েট মাশরাফি অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।
মাশরাফির প্রচেষ্টায় নড়াইলে আইটি পার্ক, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নড়াইল সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, নড়াইল শহরের ফোরলেন সড়ক, পাসপোর্ট অফিসের নিজস্ব নতুন ভবন, নার্সিং কলেজ, নড়াইল পৌরসভার নতুন ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। নড়াইলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নড়াইলবাসী ভাবছে মাশরাফি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এ জেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া আগের তুলনায় আরও অনেক বেশি হবে।

নির্বাচনী এলাকার যেসব উন্নয়নকাজ অসমাপ্ত রয়েছে এবার এমপি হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সব কাজ সমাপ্ত করব প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা সম্প্রতি পথসভায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার উন্নয়নে কাজ করছেন। কোনও উন্নয়ন প্রকল্প তিনি দল কিংবা প্রার্থী দেখে দেন না। দেশের সব জনপদের সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প তিনি বরাদ্দ দেন। মানুষের মুখে হাসি ফোটানো তার লক্ষ্য। আপনাদের জন্য কাজ করতে এখানে আমাকে তিনি মনোনয়ন দিয়ে পাঠিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে আপনারা ভোট দেবেন। আপনাদের ভোটে আমি এমপি নির্বাচিত হতে চাই।

ইতালির রোম শহর একদিনে তৈরি হয়নি উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, নড়াইল জেলা এমনিতেই অনেক সুন্দর। এটিকে আরও সুন্দর ও বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই। জন্মস্থানের টানে বারবার এখানে ছুটে আসি। মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হতে চাই। পৃথিবীর যে দেশেই খেলতে কিংবা ঘুরতে গিয়েছি, সবখানে নড়াইলের কথা তুলে ধরেছি। সামনের দিনগুলোতে আরও তুলে ধরতে চাই।

মাশরাফি বিন মুর্তজা আরও বলেছেন, আমি দৌড়াতে পারি মন্ত্রণালয়ে। অফিস থেকে অফিসে আমি দৌড়েছি বলেই নড়াইলে মেগা প্রকল্প দৃশ্যমান। যেসব কাজে মানুষের কল্যাণ সাধিত হয়, নতুন প্রজন্মসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপকৃত হয়, আগামীতে সেসব কাজ বাস্তবায়নের জোর প্রচেষ্টা চালাব।
এদিকে উন্নয়নের কাজ করবেন এমন প্রার্থীকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে চান ভোটাররা। প্রথমবারের মতো ভোটার হওয়া তরুণ ভোটারদের উচ্ছ্বাস সবচেয়ে বেশি।

তরুণ ভোটার মিম খাতুন বলেন, নতুন প্রজন্মের আইকন মাশরাফি ভাইয়াকে ভোট দিতে অপেক্ষায় আছি। মাদকমুক্ত পরিবেশে নতুন প্রজন্মকে কীভাবে মানুষের মতো মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা যায় এটাই তার ভাবনা। যে কারণে আমরা নতুন প্রজন্ম তাকে অনেক বড় জায়গায় দেখতে চাই।

তরুণ ভোটার মো. চয়ন বলেন, যে নির্বাচিত হলে আমাদের নড়াইলের সার্বিক উন্নয়ন করতে পারবে আমি তাকেই ভোট দেব।

রাতুল আহমেদ ন বলেন, এবার আমি প্রথমবারের মতো ভোট দেব। আমি চাই যেন আমার জীবনের প্রথম ভোটটা সুষ্ঠুভাবে দিতে পারি।

নড়াইল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস বলেন, সন্তানতুল্য মাশরাফি আমাদের গর্ব। দেশ-বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে। বিগত ৫ বছর তার প্রচেষ্টায় জেলায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা তাকে এমপি হিসেবে পুনরায় দেখতে চাই।

নড়াইল-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে শুক্রবার সকাল ৮টায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। এর আগে আচারণ বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে এ আসনের নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ চার প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা করা হয়। তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সব রকম প্রস্তুতি রয়েছে।

নড়াইল-২ (লোহাগড়া-নড়াইল সদরের একাংশ) আসনে লড়াইয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা (নৌকা), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম), জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ (লাঙ্গল), গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ) এবং ইসলামীঐক্যজোটের মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার), স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. নূর ইসলাম (ঈগল)।

তবে গত ৩ জানুয়ারি এ আসনে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ার‌্যমান স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

উল্লেখ্য, ৯৪ নড়াইল-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৯ এবং ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৯০ জন পুরুষ ভোটার রয়েছে।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram