যশোরে গরমের সাথে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার
ডেস্ক রিপোর্ট:
যশোরে টানা কয়েক দিনের তিব্র তাপদাহে কাঁচা বাজারে ক্রেতা কমেছে। দিনের বেলা একে বারেই ক্রেতা শূন্য বাজার। এদিকে সবজির মৌসুম শেষ হওয়াতে জোগান কমেছে। ফলে সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি
পাচ্ছে। দিনের বেলা ক্রেতা কম দেখা গেলেও সন্ধ্যা নামার পরে ক্রেতা একটু
বাড়ছে। সাধারণ ভ্যাপসা গরমে দিনের বেলা ক্রেতা সাধারণ বাজারের
গ্যারাদিং থেকে দূরে থাকছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) শহরের বড় বাজার ও রেল স্টেশন বাজার ঘুরে দেখা
গেছে প্রতিটা সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে ক্রেতাও কম দেখা
গেছে। বিক্রেতারা দিনের বেলা অলস সময় পার করছে। বাজার ঘুরে দেখা
গেছে, বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শসা ২০ থেকে ৪০ টাকা,
ঝাল ৬০ থেকে ৮০টাকা, উঁচসে ৬০ টাকা, কুসি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা,
পটল ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ভেন্ডি ৩০ টাকা, পুইশাক ৩০
টাকা, কলা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা,
ক্যাপসিকাপ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, মেচুড়ি ৫০
টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে
২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্য দিকে বেড়েছে সব ধরণের মাংসের দাম। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে
৭শত ৫০ টাকা কেজি দরে। মুরগি জাত ভেদে ২০০ থেকে ৩৬০ টাকা
টাকা। ছাগলের মাংস ১১শ থেকে ১২শ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আল আমিন হোসেন নামে রেল স্টেশন বাজারে সবজির দোকানি বলেন,
বাজারে সবজি কম। আমরা মোকামে পাইকারি সবজি কম পাচ্ছি।
সিজেন শেষ বলে সবজির উৎপাদন কমে গেছে। যে কারণে সরবরাহও কম
হচ্ছে। সরবরাহ কম বলে সবজির দাম বাড়ছে।
বড় বাজারের জাকির হোসেন নামে এক সবজির দোকানি বলেন, গরমে
দিনের বেলা বাজারে ক্রেতা আসছে না। তবে, রাতের দিকে টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। রাতে তুলনামূলক গরম কম থাকে বলে ক্রেতারা ঘর থেকে বের
হয়।
ইউনূচ আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, গরমে তো দিনের বেলা বাজারে
আসার মত নেই। তারপর সব সবজির দাম বেশি। একদিকে গরমের প্রকোপ
অন্যদিকে সবজির বাড়তি দামের চাপ। সব মিলিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের
ভোগান্তির শেষ নেই। এখন এমন পরিবেশ দু বেলা দু মুঠো খেয়ে বেঁচে
থাকা কষ্ট কর।