যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা ভাংচুর দুলুসহ নেতাকর্মী আহত
যশোরঃ যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম রেজা দুলুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও ল্যাপটপসহ টেলিভিশন। মঙ্গলবার (১৭ই আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, এদিন সকালে জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তারা পার্টি অফিসে বসে নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে সাড়ে ১২টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী পার্টি অফিসে হামলা চালায়। এসময় তারা নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা গোলাম রেজা দুলুকে ছুরিকাঘাত ও তার বুকেও লাথি মেরে ফেলে দেয়। নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করে। এতে নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হন।
এদের মধ্যে গোলাম রেজা দুলুকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর সন্ত্রাসীরা চলে যাবার সময় অফিসের সামনে রাখা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও বারান্দায় রাখা করোনা টিকার রেজিস্ট্রেশনের ল্যাপটপ, প্রিন্টার, টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, সন্ত্রাসীরা বিএনপি অফিসে ন্যাক্কারজনক এ হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি বলেন, সন্ত্রাসীরা বঙ্গবাজারের পাশের রাস্তা দিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসে এসে তান্ডব চালায়। পরে তারা মাইকপট্টি হয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বেশকিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন ও একাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
খবর পেয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাস, ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রূপন কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেছেন। বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন ও প্রকৃত দোষীদের আটকে অভিযান শুরু করেছেন বলে জানান।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রিয় খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে দুপুর ২টার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে ও হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে আটকের দাবি জানান।