১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

লোহাগড়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুর থেকে মাছ লুট

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
নভেম্বর ২২, ২০২০
14
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

রাশেদ জামান,লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চর সুচাইল আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুর থেকে অব্যাহত ভাবে মাছ লুট করছে একদল দূর্বৃত্ত। এই চক্রের মাছ শিকারে বাঁধা দিলে চক্রের সদস্যরা আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিবাসীদের মারপিটসহ হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায় পুকুরের মাছ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস করছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। প্রশাসনের তৎপরতা থাকা স্বত্তেও দূর্বৃত্তরা মাছ শিকার বন্ধ করছে না। এ ব্যাপারে আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারীরা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের অধীন চর সুচাইল গ্রামে ২০১৫ সালে মধুমতি নদীর পূর্ব পাড়ের চরে আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মিত হয়।

২০১৭ সালে ঐ প্রকল্প এলাকায় গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হয়। আশ্রয়ন প্রকল্পটি নির্মাণের সময় প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারীদের ব্যবহারের জন্য ২ একর জায়গার ওপর একটি পুকুর খনন করা হয় । বর্ষাকালে নদী থেকে ঐ পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পুকুরে আশ্রয় নিয়ে থাকে। শুকনো মৌসুমে ঐ পুকুরের পানি শুকিয়ে গেলে মাছ শিকার করে তা ঐ প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোরা করে নিয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত ২ বছর যাবৎ পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার তারাইল- পাংখারচর গ্রামের পটু ফকিরের নেতৃত্বে রইচ ফকির, রমজেদ সরদার, বশির মুন্সি, আবু শেখ সহ ১৫/২০ জনের একদল দূর্বৃত্ত জোরপূর্বক ঐ পুকুর থেকে ফিল্মি স্টাইলে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। মাছ শিকারে বাঁধা দিলে ঐ দূর্বৃত্ত চক্রের সদস্যরা আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারীদের হুমকী ধামকী সহ নানা হয়রানী করেই চলেছে।

এ ব্যাপারে আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই দূর্বৃত্ত চক্রের মাছ শিকারের বিষয়ে নড়াইল -২ আসনের সংসদ সদস্য , জেলা প্রশাসক, ইউএনও , উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ একাধিক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মাছ শিকারের বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলেও দূর্বৃত্ত চক্রের মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে না। বেপরোয়া হয়ে পড়েছে দূর্বৃত্ত চক্রের সদস্যরা।

গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখি ব্যানার্জির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজন মাঝিকে মাছ শিকারের জালসহ আটক করলেও রহস্যজনক কারনে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাখি ব্যানার্জির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একটি মিটিং এ রয়েছেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, তারাইল- পাংখারচর গ্রামের পটু ফকির ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের রাজনীতি ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। একারনে তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। তাছাড়া তার বড় ভাই পুলিশ বাহিনীর একজন বড় মাপের কর্মকর্তা হওয়ায় আইনের প্রয়োগ তার সহ তার সহযোগিদের জন্য প্রযোজ্য হয় না। বাধাহীন ভাবেই চলছে চর সুচাইল আশ্রয়ন প্রকল্পের পুকুরের মাছ শিকার। দূর্বৃত্ত চক্রের সদস্যরা আশ্রয়ন প্রকল্পের ফাঁকা ঘর গুলোতে বসে নিয়মিত ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram