২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

যশোরের শার্শায় দেশি ও চোলাই মদের জমজমাট ব্যবসা

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
জুলাই ৩, ২০২১
12
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
শার্শায় চোলাই মদের জমজমাট ব্যবসা
শার্শায় চোলাই মদের জমজমাট ব্যবসা | ছবি : শার্শায় চোলাই মদের জমজমাট ব্যবসা

এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে দেশি মদ। একই সাথে বিষাক্ত চোলাই মদের ব্যবসা করছে কিছু অসাধু ও সুবিধাভোগী ব্যক্তি।

আরও পড়ুন>>>যশোরে করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ জনের মৃত্যু

একদিকে মহামারি করোনার থাবা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে যখন মানুষের ঘরের বাহিরে বের হওয়ায় দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে ভাটা পড়েছে মানুষের আয় ও স্বাভাবিক জীবনে।

অন্যদিকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে দেশি ও চোলাই মদের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছে কিছু মাদক ব্যবসায়ী।

তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, কঠোর লকডাউন শুরু থেকে নাভারণে সরকার কর্তৃক লাইসেন্সকৃত মদের দোকানটি বন্ধ রয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে মদ সেবনকারীরা যাতে হাতের নাগালে মদ পাই সেজন্য আগে ভাগেই বিপুল পরিমাণ মদ ক্রয় করে স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীরা। নাভারণ পুরাতন বাজার থেকে নাভারণ রেল ষ্টেশন সংলগ্ন হরিজন পল্লী সহ কয়েকটি স্থানে মদ কেনাবেঁচা হচ্ছে দেদারসে।

আরও পড়ুন>>>কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রেনে কেটে গৃহবধূর মৃত্যু

দিনের আলোয় কিংবা রাতের আধারে মদ বেচাকেনা ও সেবন যেন ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়েছে। দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে এই সমস্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ওপেন কারবার দেখে বিমোহিত হয়ে পড়েছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সচেতন মহল।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় সচেতন কয়েকজন বলেন, নাভারণ স্টেশন এলাকার কয়েকজন মদ বিক্রেতাকে অনেকবার নিষেধ করেছি কিন্তু তারা আমাদের কোন নিষেধকে তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসাকে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নিজেদের মান সম্মান ও এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তিত আছি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দিনে দিনে এসমস্ত মাদক কারবারিদের জন্য আরো বেশি পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাভারন হরিজন পল্লীর এক বাসিন্দা বলেন, সরকারি লাইসেন্সকৃত হান্ডিখানা বা মদের দোকান থেকে হরিজন পল্লীর কিছু ব্যক্তি তাদের নিজেদের লাইসেন্স দেখিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মদ কিনতে পারে। কিন্তু লাইসেন্স বিহীন ব্যক্তিরা কিভাবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি করে মাল পাই সেটা আমার বুঝে আসেনা।

হান্ডিখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বেশিমাল না দিলে তারা এভাবে ব্যবসা করে পরিবেশ নষ্ট করতে পারতো না। তাই সবার আগে লাইসেন্সকৃত মদের দোকান কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সক্রিয় হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। তারা যেন বেশি মদ কিনতে পারে এমন লাইসেন্সধারী ব্যক্তিদের মাঝে বিক্রি করে।

তারা বলেন, এ সকল স্পটে উঠতি বয়সি যুবকসহ দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সি মানুষেরা মদ সেবন করতে আসে । বন্দর নগরী বেনাপোল সহ আশেপাশের অনেক ট্রাক ড্রাইভার এখানে এসে মাদক সেবন করে চলে যায়। যার কারনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এইসব এলাকায় আরো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

লাইসেন্সকৃত মদের দোকান বন্ধ থাকলেও সেবনকারীদের খাওয়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি ও ক্ষতিকর চোলাই মদের যোগান দিচ্ছে মাদক কারবারিরা। এমতাবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবে এবং মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আইনের আওতায় আনবে এমনটাই কামনা করেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram